ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানো নিয়ে বিবাদের জের। বরানগরের ন পাড়ায় বাবা-ছেলেকে চারতলার ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মত্ত প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিশ্বকর্মা পুজোয় বাড়ির ছাদে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন সুকদেব ও সুশান্ত হালদার। অভিযোগ, ছাদে উঠে ঘুড়ি ওড়াতে চায় মত্ত প্রতিবেশী। এই নিয়ে বচসার জেরে বাবা ও ছেলেকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মাথা, বুক ও শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবা ও ছেলে।
ঠিক কী ঘটেছে?
জানা যায় বরাহনগরের ছাদে ঘুড়ি ওড়ানো চলছিল। সেই সময় মত্ত অবস্থায় ওই ছাদে উঠে আসেন এক যুবক। তিনিও বলেন যে সেও ছাদে ঘুড়ি ওড়াবেন। যদিও বাকিরা তাঁকে বারণ করেন। এরপরই অভিযোগ বাবা ও ছেলেকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ঠেলে ফেলে দেন ওই যুবক। এই ঘটনায় মারাত্মকভাবে আঘত হন বাবা ও ছেলে। প্রাথমিকভাবে আরজিকর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা চলে। মাথায়, হাতে, কাঁধে গুরুতর জখম হন। প্রায় ৪০ ফুট ওপর থেকে ঠেলে ফেলা দেওয়া হয়েছে এমনটাই অভিযোগ।
এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে বরানগর থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৮ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টার মামলা রুজু হয়েছে।
এদিকে, মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও এক শিশুর মৃত্যু হল। এ নিয়ে গত চারদিনে ৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ প্রতিনিধিদলের আজ মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার কথা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কালিয়াচকের বাসিন্দা পাঁচমাসের শিশুর জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় গতকাল মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। রাতেই মৃত্যু হয় শিশুর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সঙ্কটজনক অবস্থায় নিয়ে আসায় চিকিৎসার সুযোগ মেলেনি। শিশু বিভাগে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ চলছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।