সমীরণ পাল, খড়দা (উত্তর ২৪ পরগনা): খড়দা থানার অন্তর্গত সোদপুর কেয়ার মোড়ে একটি আবাসনের ঘর থেকে এক প্রৌঢ়া ও তার ২২ বছরের ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ।মা ও ছেলের রহস্য মৃত্যু কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ওই এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।


এদিকে রাজ্যের অন্য প্রান্তে পুরুলিয়ার বরাবাজারের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হল এক মহিলা চিকিৎসকের পচাগলা মৃতদেহ। শুক্রবার সন্ধেয় তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয় চিকিৎসক সুচিত্রা সিংহর দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসকের ঘর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে হাসপাতালের কর্মী ও এলাকাবাসী থানায় খবর দিয়েছিলেন। 


স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তালাবন্ধ কোয়ার্টার থেকে মহিলা চিকিৎসকের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার নিয়েই শুরু হয়েছে তরজা। আত্মঘাতী হয়েছেন না পরিকল্পিত খুন, চিকিৎসকের মৃত্যু নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন সুচিত্রা। স্বাস্থ্যকেন্দ্র লাগোয়া কোয়ার্টারেই থাকতেন তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই কোয়ার্টারের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয়।     


এ বিষয়ে পুরুলিয়া মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিল দত্ত বলেন,  "এদিন বরাবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এর কাছ থেকে জানতে পারি ওই হাসপাতালের চিকিৎসক সুচিত্রা সিং এর মৃতদেহ হাসপাতাল কোয়াটার থেকে উদ্ধার হয়েছে। ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা প্রথম বিষয়টি বারাবাজার থানায় জানায়। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।" এ বিষয়ে মানবাজারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রহুল পান্ডে জানান, "হাসপাতালে কোয়াটার থেকে  এদিন বাইরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। হাসপাতাল কর্মীদের  এবং সাধারণ মানুষের বিষয়টিতে সন্দেহ হয়। তারা বিষয়টি পুলিসকে জানায়। পরে ওই মহিলা চিকিৎসকের সরকারি আবাসনের তালা ভেঙ্গে পুলিস ভেতরে ঢোকে। আবাসন থেকে  এক মহিলা চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।  মৃতদেহের ময়না তদন্তের পরই বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।"