কলকাতা: বড়বাজারে (Burrabazar) ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মারোয়াড়ি বালিকা বিদ্যালয়ে উত্তেজনা। পুলিশকে (Kolkata Police) ঠেলে বুথে ঢোকে বহিরাগতরা। ভাঙা হয় ইভিএম। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী বিজয় ওঝার মদতে চলছিল ছাপ্পা ভোট। বিজেপি প্রার্থীর পাল্টা অভিযোগ, বুথের ভিতরে ঢুকে গন্ডগোল পাকান তৃণমূল প্রার্থী সানওয়ারমল আগরওয়ালের অনুগামীরা। গোলমালের জেরে আপাতত বন্ধ ভোটগ্রহণ। 


অন্যদিকে ব্রেবোর্ন রোডে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে জৈন হাইস্কুলে পুলিশের সামনেই কংগ্রেস এজেন্টকে মারতে মারতে বুথ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস এজেন্টকে মাটিতে ফেলে মারা হয় কিল, চড়, লাথি। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া মেলেনি শাসকদলের। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় র‍্যাফ। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। 


উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভার ভোটে মোতায়েন থাকছে সাড়ে ২৩ হাজার পুলিশ। তার মধ্যে ৫ হাজার রাজ্য পুলিশের কর্মী। তার মধ্যে ১০ জন জয়েন্ট সিপি পদমর্যাদার অফিসার। ডেপুটি কমিশনার থাকবেন ২৬ জন। ৭১ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার থাকবেন। ভোটের দিন শহরের ২০০টি জায়গায় থাকছে পুলিশ পিকেট। জলপথেও রিভার পেট্রোলিং চলবে ৬ জায়গায়। RFS ও RT মোবাইল দিনে-রাতে মিলিয়ে থাকবে ৭২টি। HRFS থাকবে ৩৫টি। থাকবে ১৮টি স্পেশাল ক্যুইক রেসপন্স টিম। বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বিধাননগর ও হাওড়া কমিশনারেট, বারুইপুর ও ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলাকে।


বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই সকাল ৭টা থেকে কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ শুরু। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কলকাতাজুড়ে আটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা। ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য DGP ও CP-কে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মোট ৪ হাজার ৯৫৯টি বুথের মধ্যে ১ হাজার ১৩৯টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৭৮৬। এর মধ্যে চিনাপাড়া, পার্কস্ট্রিট, ধাপা ও লাগোয়া এলাকা নিয়ে গঠিত ৭ নম্বর বরোয়, সবচেয়ে বেশি, ২৫০টি  উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে কম উত্তেজনাপ্রবণ বুথ রয়েছে বেহালা, তারাতলা-সহ আশেপাশের এলাকা নিয়ে গঠিত ১৩ নম্বর বরোয়। সেখানে উত্তেজনাপ্রবণ বুথের সংখ্যা ২২।