কলকাতা: একটা সময় পর্যন্ত তিনি ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে যোগ দেন বিজেপিতে । গত অগাস্ট মাসে মুচিপাড়া থানায় দায়ের হওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে, লাথি মেরে বাড়ির দরজা ভেঙে, গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে (Sajal Ghosh )।

রাজনীতিতে নতুন করে পরিচিতি পাওয়া সজল ঘোষ এবার ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী (BJP Candidate)। যে ওয়ার্ডে একসময় তাঁর বাবা প্রদীপ ঘোষ (Pradip Ghosh) ছিলেন পাঁচবারের কাউন্সিলর। বাবার ওয়ার্ডে, তাঁর আরেক পরিচিতি লেবুতলা পার্কের পুজো উদ্যোক্তা। পুজোর আয়োজক হিসেবে নিজেকে আটকে না রেখে এবার জনপ্রতিনিধি হওয়ার লড়াইয়ে সজল। এলাকার পরিচিত মুখ বলছেন, ' এটা আসলে প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ। করোনার সময় কাউন্সিলর ছিল না, আমার ছিলাম। সেদিন দুয়ারে ছলামি। জনপ্রতিনিধি হলে আরও সুযোগ পাব।'


আলাদা করে প্রচার নয়। সজল ঢুকে যাচ্ছেন এলাকার অলি-গলিতে। চায়ের ঠেকে আড্ডা দিচ্ছেন। জড়িয়ে ধরছেন পরিচিতদের। বলছেন একবার সুযোগ দিন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, একবার সুযোগ পেলে পাড়া পরিচ্ছন্ন করে দেবেন। কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন নিকাশি সমস্যা। অধুনা বিজেপি নেতা, সজল ঘোষের বাবা, প্রদীপ ঘোষ বলছেন, 'আমি ২৫ বছর জিতেছি। ছেলেও আশ করি জিতব'

আরও পড়ুন :


'শোভনবাবু চলে যাওয়ার পর সবটাই আমার কাঁধে', প্রচারে নেমে প্রত্যয়ী রত্না




এবারই প্রথমবার ভোটের ময়দানে সজল। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের মৌসুমী দে ও কংগ্রেসের মানস সরকার। চৌরঙ্গি বিধানসভার অন্তর্গত এই ওয়ার্ড। এবার বিধানসভা ভোটের নিরিখে ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে এক হাজারের উপর ভোটের লিড পায়  তৃণমূল।


সারাদিন মিটিং, মিছিল, সভা৷  সেই সঙ্গে খেয়াল রাখা শরীরের। সকালের খাওয়া বলতে- ছাতুর শরবত। সাধারণত, ছোলার ডাল দিয়ে তৈরি হয় ছাতু। যা শীরর ঠান্ডা রাখে এবং দিনভর শক্তি জোগায়। শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন দূর করে। নিয়ন্ত্রণে রাখে সুগার লেভেল। সেই শরবতের শক্তিতেই সকালটা পার করে দেন সজল ঘোষ। ওয়ার্ডে হৃতগৌরব ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটের লড়াইয়ে সজল।