উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও পূর্ণেন্দু সিংহ, কলকাতা: প্রার্থী তালিকার পর এবার সবার প্রথমে ইস্তেহারও (manifesto)প্রকাশ করল বামেরা( Left Front)। প্রতি ওয়ার্ডে শ্রমজীবী ক্যান্টিন, শ্রমজীবী বাজার থেকে শুরু করে পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি, একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইস্তেহারে( KMC Election 2021)। যদিও এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা।
গত ২৬শে নভেম্বর সবার আগে কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে চমক দিয়েছিল বামেরা। এবার ইস্তেহার প্রকাশেও চমক বামেদের।তৃণমূল বা বিজেপি, রাজ্যের শাসক ও প্রধান বিরোধী দলের আগে বামেদের প্রকাশিত ইস্তেহারে এবার মূল স্লোগান... ‘কলকাতার স্টিয়ারিং, বামদিকে ঘুরিয়ে দিন’।
শুধু সবার আগেই নয়। এবার বদলে গিয়েছে বামেদের ইস্তেহার ধরনও। আগের থেকে বেশি ঝকঝকে।ছাপানো ইস্তেহারের পাশাপাশি প্রকাশ করা হয়েছে ই-ইস্তেহার।
করোনাকালে লকডাউন চলাকালীন বামেদের শ্রমজীবী ক্যান্টিন, শ্রমজীবী বাজার থেকে রেড ভলান্টিয়ার্স, নজর কেড়েছিল সকলের। সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে ইস্তেহারে, প্রতি ওয়ার্ডে শ্রমজীবী ক্যান্টিন ও শ্রমজীবী বাজার তৈরি করা,প্রতিটি বরোতে শ্রমজীবীদের জন্য রাতের আস্তানা, ১০০ দিনের কাজে ন্যূনতম মজুরি ৩২৭ টাকা করার মতো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, রেড ভলান্টিয়ার্সদের ইউনিট প্রস্তুত করা হবে। কেউ কোনও বিপদে পড়লে, কর্মীরা যাতে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যেতে পারে, তা খেয়াল রাখা হবে।
সম্প্রতি SSC-তে শিক্ষক ও গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ ঘিরে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এপ্রসঙ্গে বামেদের ইস্তেহারে, এক বছরের মধ্যে ২৮ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
২০১৫ সালের পুর নির্বাচনে ‘কলকাতা হবে লন্ডন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ভোটে নেমেছিল তৃণমূল। আর এবার বামেদের ইস্তেহারে শাসকদলকে কটাক্ষ করা হয়েছে।
পাশাপাশি কলকাতার জল নিকাশি ব্যবস্থা উন্নত করার বার্তাও দিয়েছে বামেরা। এছাড়াও প্রতি ওয়ার্ডে সরকারি ক্লিনিক তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ির দাবি, আমরাই তো কাজ করেছি। ছাত্র যুব মহিলা রেড ভলান্টিয়ার্স। মানুষ তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে দেখেছে।
গত বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস জোট হলেও, পুরভোটে আলাদা আলাদাভাবে লড়ছে দুই দল। এই প্রেক্ষাপটে দ্রুত ইস্তেহার প্রকাশের কথা জানিয়েছে কংগ্রেসও।
বামেদের ইস্তেহার প্রকাশকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এখন তৃণমূল, বিজেপি ও কংগ্রেস তাদের ইস্তেহারে কী বার্তা দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।