অনির্বাণ বিশ্বাস, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: বকেয়া পেনশন (Pension) ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধাঁচে স্বাস্থ্য বিমা (Health Insurance) চালুর দাবিতে কলকাতা পুরসভায় (Kolkata Municipal Corporation) বিক্ষোভ দেখালেন জয়েন্ট ফোরাম ফর এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (Joint Forum for Employees Union) সদস্যরা। দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। যদিও কলকাতা পুরসভায় পেনশন বকেয়া থাকার কথা মানতে রাজি নন মেয়র।
মেয়রের আশ্বাসের পরেও পেনশন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না কলকাতা পুরসভার। বুধবার মূলত দুটি দাবিতে কলকাতা পুরসভার ভিতরে মিছিল করে বিক্ষোভ দেখালেন, জয়েন্ট ফোরাম ফর এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সদস্যরা। একটি হল, অবিলম্বে বকেয়া পেনশন মেটানোর দাবি। দ্বিতীয়টি হল, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মতো কলকাতা পুরসভার কর্মীদের জন্যও স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে হবে। কর্মী সংগঠনের বক্তব্য, এদিন মেয়রের কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি থাকলেও, তিনি পুরসভায় না থাকায় তা জমা দেওয়া যায়নি। বকেয়া পেনশনের দাবিতে আন্দোলনের সুর চড়া করেছেন তাঁরা।
কলকাতা পুরসভা ক্লার্কস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, “সেপ্টেম্বর থেকে পেনশন বন্ধ থাকলেও, অনেকেই আছেন যাঁরা এপ্রিল থেকে পেনশন পাচ্ছেন না। মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। উনি থাকবেন না, সেই তথ্যটুকু জানাননি। যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে যে ব্যবস্থা করলে কথা শুনবেন সেই ব্যবস্থা করা হবে।‘’যদিও কলকাতা পুরসভায় পেনশন বকেয়া থাকার অভিযোগ মানতে চাননি মেয়র। ফিরহাদ হাকিমের কথায়, “কোনও কিছু পেন্ডিং নেই। আমরা এই ব্যাপারে সহমর্মী। বয়স্ক সহকর্মীদের আমরা সব সময় দেখি। খেয়াল রাখি না তা নয়।‘’
টাকার অভাবে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন ও পেনশন সংক্রান্ত অন্যান্য টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। গত ২৭ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভার পেনশন বিভাগের বাইরে লাগানো এই নোটিস ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। কলকাতা পুরসভা পেনশন দিতে অপারগ। বিরোধীদের এই অভিযোগের মুখে দাঁড়িয়ে পেনশন বন্ধ সংক্রান্ত নোটিসকে ভুয়ো বলে দাবি করেন মেয়র। পাল্টা চক্রান্তের অভিযোগে সরব হন তিনি। কিন্তু, তারপরও বিতর্ক থামছে না।
আরও পড়ুন: Cyber Crime Alert: অনলাইন লেনদেন করছেন ! এই ৫ বিষয় না জানলে ফাঁকা হবে অ্যাকাউন্ট