কলকাতা: থিমপুজোর যুগেও আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে সাবেকি পুজোর। কলকাতার মল্লিকবাড়ি এ ব্যাপারে অগ্রণী। সপ্তমীর সকালে বাড়ির সদস্যদের উপস্থিতিতে পুজো-অঞ্জলি সম্পন্ন হল সেখানে। বাড়ির অভিভাবক হিসেবে রঞ্জিত মল্লিক নিজে তো উপস্থিত ছিলেনই, কোয়েল মল্লিক, তাঁর স্বামী নিসপাল সিংহ রানে এবং তাঁদের ছেলে কবীরও সপ্তমীর পুজোয় অংশ নেন। সেখানে তারকাদের ছাপিয়ে আলাদা করে নজর কাড়ল কবীর।
শনিবার সকাল থেকেই হইহই মল্লিকবাড়িতে। পুজো উপলক্ষে পরিবারের সকলে সমবেত হয়েছেন। রীতি মেনেই সপ্তমীর পুজো হল সেখানে। বাড়ির পুজোয় অংশ নিলেন কোয়েল, নিসপাল এবং ছোট্ট কবীরও। পুজো-অঞ্জলি দেওয়ার পাশাপাশি, সকলে মিলে আড্ডা দিতেও মুখিয়ে আছেন। তারই মাঝে এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হলেন কোয়েল। জানালেন তাঁর সপ্তমী উদযাপনের কথা।
সপ্তমী উপলক্ষে এদিন হলুদ শাড়ি বেছে নিয়েছিলেন কোয়েল। এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে এদিন কোয়েল বলেন, "সকাল থেকেই সকলে খুব উৎসাহিত। পুজো হচ্ছে। মন্ত্রপাঠ-অঞ্জলি রয়েছে। তার পর আড্ডা হবে। সকাল থেকে না খেয়ে রয়েছি, যেমন বরাবরই থাকি। কবীরও এবার উপোস করেছে, যতখানি উপোসে রাখা যায় একটা বাচ্চাকে। খুব মজা করছে ও। মা দুর্গার আসার জন্য অপেক্ষা করছিল। গাড়িতেও দুগ্গা দুগ্গা করতে করতেই এল গোটা রাস্তা।"
পুজোর সাজগোজ নিয়ে প্রশ্ন করতে কোয়েল জানালেন, আজকাল ছেলের দিকেই বেশি নজর থাকে তাঁর। নিজেকে নিয়ে আলাদা করে ভাবার সময় পান না । নায়িকা বলেন, "এখন কবীরের উপরই সবচেয়ে বেশি নজর থাকে। কাল অষ্টমীতে লাল পরাব ওকে। আগে থেকেই ভেবে রেখেছি। কবীর হওয়ার আগে নিজের সাজগোজ নিয়ে যাও বা ভাবতাম, এখন সব কিছু কবীরকে ঘিরেই।"
শনিবার সপ্তমী৷ আনুষ্ঠানিক ভাবে এদিনই পুজো শুরু। লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিককে নিয়ে মা দুর্গার পিতৃগৃহে প্রবেশ। ভোরে গঙ্গার ঘাটে নবপত্রিকা স্নানের পর দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তার পর শাস্ত্রমতে ষোড়শ উপচারে শুরু সপ্তমীর পুজো। নবপত্রিকা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ন’টি গাছের পাতা। তবে বাস্তবে নবপত্রিকা ন’টি পাতা নয়, ন’টি উদ্ভিদ। কৃষিপ্রধান বাংলার প্রতীক। এগুলি হল, কলা, কচু, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, ডালিম, অশোক, মান ও ধান। কলাবাউকে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার দেবী প্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পূজা করা হয়।সপ্তমীতে এভাবেই প্রকৃতি আরাধনার মধ্যে দিয়ে শুরু মাতৃ বন্দনা।
হলুদ শাড়ি, শুভ সপ্তমী সবাইকে। আমরা সকলে খুব উৎসাহিত। আড্ডা শুরু হবে সবে। মন্ত্রপাঠ, অঞ্জলি। না খেয়ে রয়েছি সকাল থেকে। প্রতিবছরই থাকি। কবীরকে যতটা উপোস রাখা যায় বাচ্চাকে। ততখানি রাখা হয়েছে। ও খুব মজায় রয়েে। দুর্গার জন্। অপেক্ষা করছিল। দুগ্গা করতে করতেই গাড়িতে এল।
কবীরের পোশাক-সপ্তমীতে এখন ওর উপরই নজর থাকে। অষ্টমীতে আবার লাল পরাব। আগে থেকেই ভেবে রেখেছি। কবীর হওয়ার আগে নিজের সাজগোজ নিয়ে ভাবতাম পুজোয়। এখন সব কবির কে নি.ে। সবে পুজো শুরু হ.েে