ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: করোনা, ওমিক্রন আবহে কলকাতায় স্বাস্থ্য পরিষেবায় সঙ্কট। এবার এনআরএসে ৭০ জন চিকিত্সক-নার্সের করোনা। যার জন্য গোটা হাসপাতাল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এনআরএসে ১০ জন ইন্টার্ন ও চিকিত্সক, নার্স মিলিয়ে ৭০ জন করোনা আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের একমাত্র সরকারি চক্ষু হাসপাতাল রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি-তে আক্রান্ত ১২ জন চিকিত্সক। ন্যাশনাল মেডিক্যালে জুনিয়র চিকিত্সক ও চিকিত্সক মিলিয়ে প্রায় ৮০ জন আক্রান্ত। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে আক্রান্ত চিকিত্সকের সংখ্যা ৩০-এর বেশি। চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে আক্রান্ত চিকিত্সকের সংখ্যা প্রায় ৩৬। যেভাবে চিকিৎসক ও নার্সরা কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা সঙ্কটের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠকে বসল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য ভবনে ভার্চুয়াল বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা। বৈঠকে যোগ দিয়েছেন সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষরা। বৈঠকে স্বাস্থ্য পরিষেবা বজায় রাখা নিয়ে রূপরেখা তৈরির পাশাপাশি, হস্টেল বন্ধ ও এমবিবিএস পাঠক্রমের পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হবে।
এদিকে, আজ থেকেই চালু হল ১৫ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ। কোউইন অ্যাপে দেশজুড়ে নথিভুক্ত সোয়া তিন লক্ষের নাম। কলকাতার ১৬টি সরকারি স্কুলে মিলবে টিকা। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে রেজিস্ট্রেশন। আজ কলকাতা পুরসভার ১৬টি স্কুল ও ৩৭টি কোভ্যাক্সিন সেন্টার থেকে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। কাল ৫০টি স্কুল থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, পুর এলাকায় ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৯ হাজার। দু’ সপ্তাহের মধ্যে সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। শ্যামবাজার টাউন স্কুল এবং চেতলা গার্লস স্কুলে চলছে টিকাকরণের প্রস্তুতি।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের মধ্যে সংক্রমণের ঢেউ ! সঙ্কটে জরুরি বৈঠকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর