কলকাতা : গুজরাতে সেতু বিপর্যয় (Gujrat Bridge Collapse) নিয়ে সিবিআই বা ইডি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। এমনকী ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নজরদারিতে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু, এপ্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোনও কথা বলবেন না। আর এনিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিরোধীরা।


চেন্নাই যাওয়ার আগে গুজরাতে সেতু বিপর্যয় নিয়ে আজ বিজেপিকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, সরকার তাঁদের সাহায্য করতে পারেনি। যে ঠিকাদার এবং টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যারা কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই বা ইডি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন ? ওরা শুধু সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের কেন ক্ষমা করে দেওয়া হচ্ছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কোনও কথা বলব না। কারণ, ওটা তাঁর রাজ্য।"


এতবড় একটা ঘটনায় মোদিকে নিয়ে কোনও শব্দ খরচ না করায় এবার তৃণমূল নেত্রীকে বিঁধলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, "দিদি চাইছেন না মোদিকে চটাতে। মোদিকে চটালে আখেরে সিবিআই-ইডির আক্রমণ বেড়ে যায়। দিদি মোদির সঙ্গে সমঝোতা করে চলতে চাইছেন। মোদি-দিদির সম্পর্ক আজকের নয়। বাংলার মানুষ ধীরে ধীরে তা বুঝতে পারছে। আগামীদিনে আরও বুঝতে পারবে।"


প্রসঙ্গত, গুজরাতের মোরবিতে মাচ্ছু নদীর ওপর ব্রিটিশ আমলে তৈরি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে তিন থেকে ১২ বছরের ৫৬জন শিশু রয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক। ভোটের মুখে গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিপর্যয়ের দায় কার ?


সূত্রের খবর, যে বেসরকারি ঘড়ি নির্মাণকারী সংস্থা, ওরেভা গ্রুপকে (অজন্তা ঘড়ির অভিভাবক সংস্থা) সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের বরাত দেওয়া হয়েছিল, সাত মাস সময় নিয়েও পুরনো কেবল বদলায়নি তারা। বরং জং ধরা সেই কেবলের উপর রং চাপিয়েই খুলে দেওয়া হয় সেতু। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়নি। গোটা ঘটনায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা।


আরও পড়ুন ; 'কেন তদন্তে নেই সিবিআই-ইডি ?' গুজরাত সেতু-বিপর্যয়ে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে কমিশন গঠনের দাবি মমতার