জয়ন্ত পাল, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradsh) বারাণসী (Varanasi) থেকে ফেরার সময় মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) বিমান (Flight) বিভ্রাটের ঘটনার প্রতিবাদে আজ দমদম বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের (TMC) শ্রমিক সংগঠন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানে কেন বারবার বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে, সেই প্রশ্ন তুলে আজ এয়ারপোর্ট অথরিটির সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।
বারাণসী থেকে ফেরার সময় মাঝ আকাশে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট হয়। এয়ার টার্বুল্যান্সে পড়ে একধাক্কায় কয়েক হাজার ফুট নিচে নেমে আসে বিমান। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। পরিষ্কার আকাশ, তাও হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর বিমান-বিভ্রাটে আতঙ্ক ছড়ায়। যাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই ঘটনায় আবহাওয়ার কারণ দেখিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
তবে গতকাল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়ার গোলযোগ নয়, তাঁর বিমানের সামনে চলে এসেছিল অন্য একটি বিমান। সংঘর্ষ এড়াতে আচমকা নামাতে হয় বিমানটিকে। প্রায় ৮ হাজার ফুট নামাতে হয় বিমানটিকে। অতি দক্ষতার সঙ্গে পাইলট তা করতে পারায়, বেঁচে যায় বিমান।
এই ঘটনার প্রতিবাদেই আজ বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীরা।
এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাট হয়। বারবার তাঁর বিমান বিভ্রাটের ঘটনায় রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে, আজ নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের অনুষ্ঠানে বিরোধীদের আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সিপিএম এখন দর্শনধারী। তৃণমূল ভদ্রতা করে বলে দুর্বল নয়। গতকাল বিজেপি বিধানসভায় চূড়ান্ত অসভ্যতা করেছে। এত করা সত্ত্বেও আমাদের মহিলা বিধায়করা বিধানসভার সম্মান রক্ষা করেছেন। বাম-রাম মিছিল করছে। জানে না পরীক্ষার্থীদের অসুবিধে হবে। ওরা কোনও আইন-কানুন মানে না। রাজনীতি করতে হলে আগে মানুষের কতা ভাবতে হয়। বেছে বেছে কাঁথি, ব্যারাকপুর, বহরমপুরে গন্ডগোল হচ্ছে। মানুষের উপর ভরসা রাখতে হবে বিরোধী দলগুলিকে। রাম-বাম-শ্যাম মিলে মিটিং করছে, কী করে সব বন্ধ করা যায়।’