মাথায় হাতুড়ি মারার মতো যন্ত্রণা। দপদপ ভাব। মাথার একদিক যন্ত্রণায় ছিঁড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি। সেই সঙ্গে অসম্ভব বমি-বমি ভাব। আলোচর দিকে চাইতে না পারা। আওয়াজ সহ্য করতে না পারা। এগুলোই মাইগ্রেনের লক্ষণ। মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েকদিন অবদি গড়াতে পারে। মাইগ্রেনের কষ্ট দিনের সব কাজ পণ্ড করে দিতে পারে। এটি কিন্তু নার্ভের অসুখ। তবে এই অসুখ চিকিৎসায় সারে না, এমনটাও নয়। 


অরা ( Aura ) 



কোনও কোনও মাইগ্রেনের রোগীদের কিছু ওয়ার্নিং সাইন থাকে। একে বলে অরা। মাথা যন্ত্রণা শুরু হওয়ার আগেই তা মালুম পড়ে। কী কী লক্ষণ -


  • চোখের মধ্যস্থল থেকে যন্ত্রণা ( warning symptom )

  • মাথা যন্ত্রণা 

  • চোখে আলোকবর্তিকা দেখা 

  • মুখের মধ্যে ঝনঝনিয়ে ওঠা 

  • মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে মাসের ১৫ দিন অবধি ভোগাতে পারে। 



 


মাইগ্রেনের চিকিৎসা কী (Treatment For Migraine) ?


কিছু কিছু ওষুধ অত্যন্ত কাজে লাগে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে টানা চিকিৎসার দরকার। লক্ষণের গুরুত্ব ও কত ঘন ঘন হয় এই অসুখ, তার উপর নির্ভর করে হয় ট্রিটমেন্ট। যাঁদের ক্রনিক মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ট্রিপটেন (triptans - group of medicines used to ease the symptoms of a migraine attack) কাজ নাও করতে পারে। 

ওষুধের সঙ্গে সঙ্গে জীবনশৈলিতে কিছু পরিবর্তনও মাইগ্রেন থেকে মুক্তি দিতে পারে। Migraine Research Foundation -এর মতে,  মাইগ্রেন এই মুহূর্তে দেশে দাপুটে রোগ গুলির মধ্যে তৃতীয়। বিশ্বে যে রোগগুলো একজনকে অক্ষম করে দিতে পারে, সেগুলির মধ্যে ষষ্ঠ। The World Health Organization (WHO) - এর মতে, মাথা যন্ত্রণা নার্ভের অসুখগুলির মধ্যে বশ কমন। কিন্তু অনেকেই এই রোগকে অবহেলা করেন। যেহেতু মাইগ্রেনে কারও মৃত্যু হয় না, বা মাইগ্রেন সংক্রামক নয়, তাই হয়ত এই অসুখকে অনেকেই তেমন গুরুত্ব দেন না, কিন্তু দুর্বিসহ কষ্ট পান। কী কী টেস্ট করানো যায় মাইগ্রেন হলে - 



  • HIT or Headache Impact Test

  •  সিটি স্ক্যান (CT scan )

  • MRI

  • চোখের পরীক্ষা ( Eye exam ) 

  • spinal tap.


Consultant (Neurology) and Movement Disorders, Nanavati Max Super Speciality Hospital