ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : পরপর ৩দিন, ফের কলকাতা বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ! পুণে থেকে কলকাতা-আকাশা এয়ারের বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। বিমানে বোমা থাকার কথা বলে কলকাতা বিমানবন্দরে ফোন আসে।


বিমানটি মাঝ আকাশে থাকার সময়ই ফোন আসে। ওই বিমানে বোমা রাখা আছে বলে কলকাতা বিমানবন্দরে ফোন আসে। তৎক্ষণাৎ কলকাতা বিমানবন্দরে এমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়। ৪ টে ৩৮ মিনিট নাগাদ পুণে থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। অবতরণের আগেই সেখানে ফায়ার ব্রিগেড, অ্যাম্বুলেন্স ও নিরাপত্তাকর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়। কলকাতা বিমানবন্দরের বম্ব থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট কমিটি এই মুহূ্র্তে পর্যালোচনা করছে, যে থ্রেট এসেছে সেটি আদতে সত্যি কি না। কারণ, প্রায় একমাস ধরে প্রায় দিনই এই ধরনের কল আসছে কলকাতা বিমানবন্দরে। পরে দেখা যায় সেগুলি ভুয়ো। বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে অনেক দূরে বিমানটি রাখা হয়েছে।


একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায় গত কয়েক দিন ধরে। এবার এই ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। বিমান নিরাপত্তা নিয়মে সংশোধনী হাঁটার পথে এগোতে চলেছে মোদি সরকার, গতকাল এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নায়ডু কিঞ্জারাপু। কী কী বদল আনা হবে ?


রবিবার, একযোগে ২৫টি বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। যার জেরে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করতে হয় বিমানগুলিকে। কোনো কোনো বিমানের রাস্তাও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে চরম আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রী ও কেবিন ক্রুদের মধ্যে। 


PTI রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্ডিগো, ভিস্তারা, এয়ার ইন্ডিয়া ও আকাশা এয়ার এবং এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের অন্ততপক্ষে একটি করে বিমানে গত রবিবার বোমাতঙ্ক ছড়ায়।


ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিমানে আতঙ্ক ছড়ায়। যার মধ্যে কয়েকটিতে হুমকি খলিস্তানি সমর্থকরা দেয় বলে অভিযোগ। যদিও এনিয়ে কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে জঙ্গি তকমা পাওয়া গুরুপাতওয়ান্ত সিং পান্নুন আগামী নভেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইটকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। নভেম্বরের ১ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছে পান্নুন, এমনই খবর সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের। এর আগে কানাডা যখন প্রথমবার ভারতের বিরুদ্ধে হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভূমিকা থাকার অভিযোগ এনেছিল, ২০২৩ সালে তখনও আমেরিকার খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা একইরকম হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।


এ প্রসঙ্গে গতকাল অসামরিক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, যদি প্রয়োজন পড়ে আমরা আইনি পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা মন্ত্রকের তরফে করেছি। এক্ষেত্রে আমরা দুটি সিদ্ধান্তে এসেছি। প্রথমত, বিমান নিরাপত্তা আইনে সংশোধন...এই নিয়মগুলি পরিবর্তন করে আমরা যে ধারণা প্রচার করতে চাই তা হল যে একবার আমরা এর পিছনে থাকা অপরাধীকে ধরতে পারলে, তাকে নো-ফ্লাইং তালিকায় রাখা হবে। দ্বিতীয়ত, অসামরিক বিমান চলাচল আইনের নিরাপত্তার বিরুদ্ধাচারণ করা বেআইনি আইন দমন।