কলকাতা: বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) আপাতত বন্ধ থাকছে ভিজিটর্স পাসের সুবিধে। ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ভিজিটর্স পাস (Visitor Pass)। প্রজাতন্ত্র দিবসের (Republic Day) আগে নিরাপত্তার কারণে এই সিদ্ধান্ত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। বৈধ টিকি- সহ যাত্রীরাই শুধু বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, দেশে প্রতিদিন বেড়ে চলেছে কোভিডের দাপট। এই প্রেক্ষাপটে চলতি মাসের ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের ক্ষেত্রে কঠোর বিধি নিষেধ জারি হতে চলেছে। এর ফলে প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল আকর্ষণ প্যারেডের অনুষ্ঠানটিও জৌলুসহীন হতে চলেছে। করোনা পরিস্থিতিতে কম সংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে এবারের প্রজাতন্ত্র দিবস পালনের কথা চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র।
সরকারি আধিকারিকরা সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, অনুষ্ঠান চলাকালীন দর্শকদের নিরাপত্তানিয়ে আলোচনা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি বৈঠক আয়োজন করা হয়েছে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে গত বছরে কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে যা যা বিধি আরোপিত ছিল, এ বছর সেগুলি থাকবেই। তা ছাড়াও এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের সময় আরও কঠোর বিধিনিষেধ লাগু করা হবে।
এএনআইকে এক উচ্চপদস্ত আধিকারিক বলেন, "প্যারেডের রুটটি গত বছরের মতোই ছোট হবে। মার্চিং কন্টিনজেন্ট লাল কেল্লার পরিবর্তে ইন্ডিয়া গেট সি-হেক্সাগনে শেষ হবে। সেন্ট্রাল ভিস্তার অধীনে পুনর্নির্মাণ করা রাজপথটি বিজয় চক এবং ইন্ডিয়া গেটের মধ্যে খোলা হয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশগ্রহণকারী কন্টিনজেন্টের মহড়ার জন্য।"
অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতিতে বিমানে (Flight Service) যাতায়াতের ক্ষেত্রে ফের নয়া নিয়ম। কলকাতা (Dumdum Airport) থেকে বিমানে অন্য রাজ্যে যাতায়াতে লাগবে করোনা টেস্টের রিপোর্ট (Covid Report)। ওড়িশা(Odisha), মণিপুর (Monipur), নাগাল্যান্ড (Nagaland), পোর্ট ব্লেয়ার (Port Blaire), জম্মু-কাশ্মীর(Jammu-Kashmir), লাদাখ (Ladakh)-সহ ৭টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে যেতে লাগবে আরটিপিসিআর (RTPCR) নেগেটিভ রিপোর্ট। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই কলকাতা বিমানবন্দরে (Kolkata Airport) বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট। কলকাতা থেকে যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রেও বাধ্যতামূলক নেগেটিভ রিপোর্ট। করোনার সংক্রমণ রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
সম্প্রতি ভারতে ওমিক্রন উদ্বেগে বাড়ায় নবান্নে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব। শুধু আন্তর্জাতিক নয়, দেশীয় বিমানের ক্ষেত্রেও আরটিপিসিআর (rtpcr) বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল আগেই। বাংলাদেশ (bangladesh), সিঙ্গাপুর থেকে কলকাতায় আসা বিমানে নজরদারি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। বেলেঘাটা (beleghata) আইডিতে বিশেষ ওমিক্রন রুম তৈরির নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। আর এতেই বোঝা গিয়েছিল এ রাজ্যেও ওমিক্রন নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সরকার।