কলকাতা: অ্যাডিনো (Adenovirus) উদ্বেগের মধ্যেই বিসি রায় হাসপাতালে (BC Roy Hospital) ভেন্টিলেটর বিকল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। শ্বাসকষ্ট নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বিরাটির বাসিন্দা ৬ মাসের এক শিশু। মঙ্গলবার থেকে ভেন্টিলেটরে ছিল সে। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে সেই ভেন্টিলেটরটি বিকল হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিরামহীন ব্যবহারের ফলে ভেন্টিলেটরে বিভ্রাটের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।
ভেন্টিলেটর বিকল হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি-
গতকাল সকালের ঘটনা। সন্ধেবেলায় পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়। বিরাটি থেকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় ৬ মাসের ওই শিশুকে। তিন দিন আগে ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে দেওয়া হয় তাকে। শ্বাসকষ্ট ও সর্দি নিয়ে সে চিকিৎসাধীন। পরিবারের বক্তব্য, গতকাল সকালে তারা আচমকা জানতে পারে যে, ভেন্টিলেটরটি বিকল হয়ে গেছে। হাসপাতালের তরফ থেকে তাদের ডেকে বিষয়টি জানানো হয়। পরিবারের দাবি, এরপর নতুন ভেন্টিলেটর আনা অবধি একটি বিশেষ পদ্ধতিতে শিশুকে স্থিতিশীল রাখেন চিকিৎসকরা। বিকল্প ভেন্টিলেটর আসার পর তাতে দেওয়া হয় শিশুকে।
হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলীপ পালের দাবি, ৪০টি ভেন্টিলেটর ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে আছে। প্রত্যেক শিশুই এখানে সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছে । একজন শিশু সুস্থ হলে আরও একজন শিশুকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে দিতে হচ্ছে। ফলে, গত দুই সপ্তাহ ধরে কোনওভাবে ভেন্টিলেটরকে বিশ্রাম দেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে যান্ত্রিক বিভ্রাটের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে।
এদিকে অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই ফের বি সি রায় হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ শিশুর মৃত্য়ু হল। রবিবার জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শাসনের বাসিন্দা ১১ মাসের শিশুকে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় তার। ডেথ সার্টিফিকেটে অ্যাডিনো সংক্রমণের উল্লেখ রয়েছে।
এদিন সন্ধেয় শ্বাসকষ্টজনিত কারণে ভর্তি আরও ২ শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মৃতদের মধ্যে একজন জয়নগরের বাসিন্দা, বয়স (৭ মাস)। অন্যজন নারায়ণপুরের বাসিন্দা(৩)। এই দুই শিশুর পরিবারের অভিযোগ, দুপুরে মৃত্যুর কথা জানানো হলেও রাত সাড়ে আটটা অবধি দেহ দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশ হস্তক্ষেপে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। অ্যাডিনো ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৫৫ জন শিশুর মৃত্যুর খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন ; বি সি রায় হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ শিশুর মৃত্য়ু