কলকাতা : ফের শহরে আগুন। আতঙ্ক ছড়াল কলকাতার স্কুলে।  আগুন লাগল কলকাতার  পাম অ্যাভিনিউয়ের স্কুলে। শহরের নামি স্কুল অশোকা হল গার্লসে আগুন লেগে যায়। রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার জন্য কয়েকদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে , বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল। দমকলকে স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। 

মঙ্গলবার দুপুরে ১২ টা নাগাদ অশোক হল গার্লস স্কুলের তিন তলার একটি ঘর থেকে গল গল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন আসে। পৌঁছে যায় ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমও। এলাকাটি ঘিঞ্জি। পাশে আরও একটি স্কুলও আছে। তাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মেরামতির কাজ চলার সময় কোন ভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। ৬ নম্বর পাম এভিনিউয়ে এই আগুনের জেরে বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয় আশেপাশের রাস্তাগুলিতে । প্রায় এক ঘন্টা পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়।

কিছুদিন আগেই কলকাতার অপর একটি নামি স্কুল নব নালন্দায় জানলার একটি কাচ ভেঙে পড়ে স্কুল ছাত্রের মাথায়। তাতে আহত হয় দুই ছাত্র। ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। অভিভাবকরা প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। 

গত কয়েকদিনে শহরে পরপর অগ্নিকাণ্ড ঘটে চলেছে। নারকেলডাঙা থেকে তারাতলা,  চিংড়িঘাটা থেকে পাম অ্যাভিনিউ। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সোমবার রাত ১টা নাগাদ চিংড়িঘাটার চাউল পট্টি রোডে ভ্যাটে আগুন লাগে। সেখান থেকে পাশের পরিত্যক্ত জমিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের একটি ইঞ্জিন গিয়ে আধঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কী থেকে আগুন, এখনও জানা যায়নি।  সোমবার  সন্ধে ৭টা নাগাদ কলকাতার তারাতলায় CPT কলোনিরঝুপড়িতে আগুন লাগে। একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার ফাটতে শুরু করে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রায় ২৫টি ঝুপড়ি। মাথার ওপর ছাদ হারান বেশ কিছু মানুষ। আশ্রয় তো গিয়েছেই, যথাসর্বস্ব খুইয়েছেন ঝুপড়িবাসীরা। ঘটনাস্থলে যান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

 

অন্যদিকে বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের খবর এসেছে জেলা থেকেও। যেমন, সোমবার বোলপুরে বহুতলে বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে মৃৃত্যু হয় প্রৌঢ় দম্পতির। দুই শিশু-সহ ৫ জন আহত হন।  সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ বোলপুরের বাঁধগোড়ায় পাঁচতলা বহুতলের গ্যারাজে মিটার বক্স থেকে আগুন ছড়ায়। গ্যারাজে রাখা বাইক পুড়ে যাওয়ায় আগুন ভয়াবহ আকার নেয়।