কলকাতা: নিউটাউন কাণ্ডের পর রাতের শহরে ফের চলল গুলি। একদিকে যখন শহরজুড়ে চলছে আরজিকর কাণ্ডে প্রতিবাদ, ঠিক তখনই বাবুঘাটে চলল গুলি।আহত একাধিক, ভর্তি করা হল SSKM-র ট্রমা কেয়ারে।
ঠিক কী কারণে রাতের কলকাতায় চলল গুলি ?
বাবুঘাটে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি। বালি কেনা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে গুলি চলার অভিযোগ। কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। আহত বেশ কয়েকজন, ভর্তি এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে। তদন্তে ময়দান থানা ও নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ। এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ার বিভাগের গেটের কাচ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ আহতদের পরিবারের বিরুদ্ধে।
গুলিবিদ্ধ হলেন ট্রাকের খালাসি
অপরদিকে, রাতের অন্ধকারে রাস্তায় ফেলা ছিল গাছের গুঁড়ি। চালক ভেবেছিলেন সামনে বোধহয় অবরোধ হচ্ছে। ট্রাক থেকে নেমে গাছের গুঁড়ি সরানোর কিছুক্ষণের মধ্যে উড়ে এল গুলি। গুলিবিদ্ধ হলেন ট্রাকের খালাসি। গুলিবিদ্ধ খালাসিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্য এক খালাসিকে অপহরণেরও চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। রবিবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট থানার ধামুয়া রোডে। নিহত নন্দকিশোর সিং (৪৫) বিহারের বাসিন্দা। এই ঘটনায় রবিবার দিনভর তল্লাশি চালিয়ে ৪ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরজিকর কাণ্ডে প্রতিবাদের মাঝেই ক্রাইম
একদিকে যখন আরজিকর কাণ্ডে চলছে গোটা শহরে প্রতিবাদ, ঠিক সেই সময়েই নিউটাউনের মতো জায়গায় ঘটে গিয়েছিল ভয়াবহ ঘটনা। ইকো পার্কের কাছে চলেছিল গুলি। বাইকে এসে গুলি চালিয়ে ২ দুষ্কৃতী চম্পট দেয়। রাত ১০টা নাগাদ চলেছিল গুলি । নাসিমুদ্দিন নামে আহতকে ভর্তি করা হয়েছিল বিধাননগর হাসপাতালে। তবে হাসপাতালে নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি । মৃত্যু হয় ওই গুলিবিদ্ধ যুবকের। কে বা কারা কী কারণে এই ঘটনা ঘটাল, তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
অতীতে ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী হুগলি
অতীতে ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী হুগলি। গভীর রাতে হুগলির মগরায় গাড়িতে ধাওয়া করে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটেছিল। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। আহতদের একজন হলেন বিশ্বনাথ দে। আরেকজন হলেন মইদুল ইসলাম। গুলিবিদ্ধ দু'জনকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিশ্বনাথ দে-কে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
আরও পড়ুন, পেট্রোলের দরে বদল বাংলার ১৭ জেলায়, আজ জ্বালানি ভরাতে খরচ কত ?
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত দেড়টা নাগাদ মগরার নাকসা মোড়ের কাছে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটেছিল। বাইকে যাচ্ছিলেন বিশ্বনাথ দে ও মইদুল ইসলাম। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি গাড়ি তাঁদের ফলো করছিল। আচমকা দুই বাইক আরোহীকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। বিশ্বনাথ দে-র পেটে ও হাতে গুলি লেগেছিল। পায়ের ওপরের অংশ গুলি লাগে মইদুলের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই হামলা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।