আবীর দত্ত, কলকাতা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাগমারিতে (baghmari) ফের দুর্ঘটনা। ফের ট্রাম লাইনে চাকা পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল বাইক (bike)। আহত হলেন দুই বাইক আরোহী। পরপর দুর্ঘটনা ঘটতে থাকায় রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
একই জায়গায়, একই কারণে ফের দুর্ঘটনা। একইভাবে প্রতিবাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরপর দু’দিন দুর্ঘটনার সাক্ষী হল বাগমারি। শুক্রবার বাগমারিতে ট্রাম লাইনে চাকা পড়ে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান অ্যাপ নির্ভর বাইক চালক। একটি ক্রেন এসে পিষে দিলে মৃত্যু হয় তাঁর।
শনিবার সেই বাগমারিতেই ট্রাম লাইনে চাকা পড়ে উল্টে যায় আর একটি বাইক। আহত হন দুই আরোহী। গতকালের পর আজও বাইক দুর্ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ কাঁকুড়গাছির দিক থেকে মানিকতলার দিকে যাচ্ছিল বাইকটি। সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
পরের পর দুর্ঘটনা ঘটায়, প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় আধঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই লাইন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ট্রাম চলাচল করে না। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফে লাইন পিচ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়নি। যার জেরে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রশাসনের হুঁশ ফিরবে কবে, এই প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের।
উল্লেখ্য, গতকাল সাতসকালে শহরে দুর্ঘটনায় (Accident) মৃত্যু বাইক চালকের। সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বাগমারি রোডে (Bagmari Road) এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি অ্যাপ নির্ভর বাইক। চালক ছাড়াও বাইকে ছিলেন তাঁর সঙ্গিনী।
পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রামের লাইনে চাকা পড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক চালক ও তাঁর সঙ্গিনী পড়ে যান। সেই সময় উল্টোদিক থেকে আসছিল একটি ক্রেন। সেটি হেলমেট পরা বাইক চালকের উপর দিয়ে চলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর হাসপাতালে (R G Kar Medical College and Hospital)। সেখানেই চিকিত্সকরা বাইক চালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাইক চালকের সঙ্গিনী আহত অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্রেন চালককে আটক করেছে নারকেলডাঙা থানার (Narkeldanga Police Station) পুলিশ।