হিন্দোল দে, রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : আবার একটা হাড়হিমকরা হত্যাকাণ্ড! আবার সেই ট্রলি ব্যাগ থেকে উদ্ধার মৃতদেহ । কুমোরটুলি, ঘোলার পর এবার বাগুইআটিতে । ট্রলি ব্যাগের পর এবার স্য়ুটকেস-বন্দি দেহ উদ্ধার হল বাগুইআটিতে।
স্যুটকেস খুলে এক বৃদ্ধার দেহ
মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশী পাড়ায় রাস্তার মধ্যে স্যুটকেস পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়। স্যুটকেস খুলে এক যুবতীর দেহ মেলে। মহিলা এলাকার বাসিন্দা নন। তাঁর পরিচয় এবং দেহ স্যুটকেসে ভরে কে বা কারা ফেলে গেল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পরপর ট্রলিব্যাগে দেহ
কুমোরটুলির ট্রলিব্যাগ-কাণ্ড
এর আগে গত মার্চে, ঘোলার কাছে ট্রলিব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় রাজস্থানের ব্যবসায়ীর দেহ! গ্রেফতার করা হয়েছে নিহত ব্য়বসায়ীর বিজনেস পার্টনারকেই! তার আগে শহরে তোলপাড় ফেলে দেয় কুমোরটুলির ট্রলিব্যাগ-কাণ্ড। যেখানে এক সুমিতা ঘোষ নামে এক আত্মীয়াকে খুনের পর, ট্রলিব্যাগে দেহ ফেলতে গিয়ে ধরা পড়েন মা-মেয়ে আরতি ঘোষ এবং ফালগুনী ঘোষ! এরপর ঘটনার তদন্তে একের পর এক হাড়হিম করা ঘটনা সামনে আসে। সম্পত্তি ও টাকাপয়সার লোভ কীভাবে মা-মেয়েকে অপরাধের অন্ধকারে ঠেলে দেয় ! দুই মহিলার এই নৃশংস কীর্তি, অনেকেরই শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দেয়।
ঘোলার ট্রলিব্যাগ কাণ্ড
ঘোলার ঘটনাও ছিল নৃশংস। নিহতের নাম ছিল বাঘারাম দেবাসি। রাজস্থানের বাসিন্দা বাঘারাম কলকাতার বড়বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করতেন। থাকতেন কলেজ স্ট্রিটের কাছে মেছুয়া পট্টিতে। ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায়, তাঁর দুই বিজনেস পার্টনার কৃশপাল সিং ও করণ সিং-কে গ্রেফতার করে ঘোলা থানার পুলিশ। এরাও কৃশপাল ও করণ রাজস্থানের জালোরের বাসিন্দা। সম্পর্কে মামাতো-পিসতুতো দুই ভাই থাকত মুক্তারামবাবু স্ট্রিটের কাপড়ের গুদামে। এই গুদামেই খুন করা হয় বাঘারামকে, উঠে আসে তদন্তে । চায়ের সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে প্রথমে নিস্তেজ করে, পরে গলার নলি কাটা হয়। এরপর মুখে প্লাস্টিক জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর, দেহ পোরা হয় ট্রলি ব্যাগে। তারপর তা ফেলে আসার চেষ্টা করতে গিয়েই অপরাধের পর্দাফাঁস হয়ে যায়।
এখন বাগুইআটির এই স্যুটকেসবন্দি দেহ কার, খোঁজ করছে পুলিশ। কী উদ্দেশ্যেই বা খুন, কে ফেলে গেল স্যুটকেস, খোঁজ করা হচ্ছে।