সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলের বিরুদ্ধে হুমকি, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুললেন তাঁরই ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality Corporation) ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। মিথ্যে মামলা নয়, পুলিশকে সমস্তটা জানাব বলেছি, পাল্টা সাফাই কাউন্সিলরের। 


ভিডিও-য় যাঁকে হুমকির সুরে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে, তিনি কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality Corporation) ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ দাস। ভিডিও-য় তাঁরই ওয়ার্ডের এক বাসিন্দার নামে কেস দেওয়ার হুমকি দিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। 


যদিও, অভিযোগকারীর দেওয়া ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। বাঁশদ্রোণী থানার অন্তর্গত, বিধানপল্লি এলাকার এই একফালি জমি নিয়েই অশান্তির সূত্রপাত। দুটি বাড়ির মাঝে দেড়শো বর্গফুট জমি তার মালিকানা নিয়ে কিরীটী রায় ও সোমনাথ রায়- দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ। 


সম্পত্তি-বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। গত ৩ মে, এই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করে আলিপুর সিভিল কোর্ট। আদালত নির্দেশ দেয়, ৩ জুন পর্যন্ত এই জমিতে কোনওরকম নির্মাণকাজ করা যাবে না। 


এরই মধ্যে, সোমনাথ রায়, জমির ওপর সিমেন্টের স্ল্যাব বানান। প্রতিবাদ জানান তাঁর ভাই কিরীটী রায়। অভিযোগ, তখনই ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে হুমকি দেন স্থানীয় কাউন্সিলর। 


অভিযোগকারীর কথায়, মেয়ে কেসে ফাঁসাবেন বলেছেন উনি তো আমারও কাউন্সিলর। তবে কেন আমায় হুমকি দেবেন? আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাব। যদিও মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত কাউন্সিলর।


 ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্দীপ দাসের কথায়, কিরিটি নিজের দাদার বউকে মেরেছে। আমায় ওঁরা নালিশ করেছে। আমি তো নিজে পাল্টা মারতে পারি না। তাই, থানাকে জানাবো বলেছি। তিনি আরও বলেন, আমি তো মারিনি। পাল্টা আমায় মেরেছে দাদার ছেলে। আমার বউকে তো রাস্তায় মেরেই ফেলছিল। তৃণমূলের একজন এসে বাঁচায়। যদিও এসমস্ত অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেননি কিরীটীর দাদা সোমনাথ রায়।