হিন্দোল দে, কলকাতা : করোনা অতিমারীর (Corona Pandemic) ধাক্কা ক্রমশ কাটিয়ে উঠছেন সকলে। বিধিনিষেধের (Covid Restriction) শিকল আগলা হওয়ায় ক্রমশ ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে জনজীবনও। কিন্তু মারণ ভাইরাসের ধাক্কা যেন এখনও একইভাবে দগদগে অনেক জায়গায়। বেহালায় এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের লোকজনের দাবি অন্তত সেরকমই। গতরাত থেকে নিঁখোজ থাকার পর বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির মৃতদেহ স্থানীয় পুকুরে (Pond) উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, আর্থিক অনটনের (Financial Crisis) জেরে ডিপ্রেশনে (Depression) ভুগছিলেন তিনি। পুলিশ (Police) জানাচ্ছে, ডিপ্রেশনেরের জেরে আত্মহনননের পথ নাকি অন্য কোনও কারণ, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঠিক কী হয়েছে
বেহালার পর্ণশ্রী থানা এলাকায় বটতলা বাজারের কাছে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মৃতের নাম অতনু মিত্র। পরিবারের দাবি, গতকাল রাত সাড়ে ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি। আজ সকালে বাড়ির কাছেই পুকুরে দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পর্ণশ্রী থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পরিবারের কী দাবি
পরিবারের দাবি, আর্থিক অনটনের কারণে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই কারণে আত্মঘাতী বলে অনুমান। গত বছর দুয়েক অর্থ উপার্জন অনেকটাই কমে যাওয়ার জেরে প্রথমে আর্থিক সমস্যা ও তার থেকে অতনু মিত্র ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন বলে জানাচ্ছে পরিবার।
পুলিশের বক্তব্য
স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধারের পর তদন্তের কাজ শুরু করেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তি ডিপ্রেশনের জেরেই আত্মহনননের পথ বেছে নিয়েছেন, নাকি মৃত্যুর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, সেটাই এই মুহূর্তে খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। অপেক্ষা করা হচ্ছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেরও।
কিছুদিন আগে দোলের (Holi 2022) দুপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গড়িয়ার (Garia) ব্রহ্মপুর এলাকায়। রং খেলে দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু (Drowned to death) হয় এক কিশোরের (Young boy)। বাঁশদ্রোণী থানা (Bashdroni Police Station) এলাকায় ক্লাস নাইনের ছাত্রের এহেন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকায়।