আবির দত্ত, কলকাতা: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পর থমথমে বেহালার (Behala) চড়কতলা। প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিনের বাসিন্দা হলেও এর আগে কখনও এরকম তাণ্ডব তাঁরা আগে দেখেননি। আবার কারও দাবি, প্রশাসন শান্তি বজায় রাখার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করুক। চড়কতলায় হামলার ঘটনার দেড়দিন পরও মূল অভিযুক্ত ও এলাকার তৃণমূল যুবনেতা বাবন বন্দ্যোপাধ্যায় অধরা। রাতভোর তল্লাশি চালিয়েও তাঁর হদিশ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মঙ্গলবার রাতে চড়কতলা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে। এলাকা জুড়ে চলে অবাধে ভাঙচুর। আবাসনে ঢুকে চলে তাণ্ডব। সবটাই হয় পুলিশের (Police) সামনেই।
বিধায়কের কাছে দরবার:
এরই মধ্যে মূল অভিযোগ যাঁর বিরুদ্ধে এবং ঘটনায় যাঁদের পুলিশ গ্রেফতার (arrest) করা হয়েছে তাঁদের বাড়ির তরফেও লোকজন এসেছিলেন বিধায়কের কাছে। আজ স্থানীয় বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে নালিশ করেন অভিযুক্ত বাবন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার। বিধায়ক সাফ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বাবন যেন আত্মসমর্পণ করেন। এরই মধ্যে অভিযুক্ত বাবন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল।
কী বললেন বিধায়ক:
বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এই ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিন্তিত। বেহালার মতো জায়গায় ঘটনা ঘটেছে। মুখ্য়মন্ত্রী চিন্তিত। মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) বলেছেন যাঁরা দোষী তাঁরা শাস্তি পাবেই। এফআইআরে যাদের নাম রয়েছে তাঁদের পুলিশের কাছে সারেন্ডার করতে বলেছি।' বিধায়কের আরও দাবি, এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা নয়। এটা দুটি পাড়ার ঘটনা। ঝামেলা হয়েছিল, তা পুলিশের মাধ্যমে থামানো হয়েছিল। পরে আবার ঝামেলা হয়। বিধায়কের আশ্বাস, 'যারা এই ঘটনায় দোষী, তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে বারবার ঝামেলার অভিযোগ এসেছে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে বলেছি এলাকাটিকে যেভাবে হোক শান্ত করতে হবে।' সাধারণ মানুষের ক্ষতি হওয়ায় তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢিল ছুড়েছে। স্কুলের গাড়ি, স্কুটার ভেঙেছে। এগুলি ঠিক নয়। রাতে ঘুমনোর সময় এমন ঘটনা ঘটলে তা কাম্য না। এলাকার মানুষ ভরসা করে ভোট দিয়েছে। আমি সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি।'
বিজেপির কটাক্ষ:
ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি (BJP) নেতা রাহুল সিনহার অভিযোগ, 'বেহালায় শুধু কাটমানির লড়াই হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীদের এলাকা দখলের লড়াই হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ফরাক্কায় গ্রাহক সেজে ব্যাঙ্ক ডাকাতির ৫৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার !