রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য সল্টলেকে। এদিন সল্টলেকের সি এফ ব্লকের বাড়ি থেকে পূর্ণেন্দু মণ্ডলের (৮৪) ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ণেন্দু মন্ডল একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী ছিলেন। সল্টলেকের সি এফ ব্লকের বাড়ির নিচের তলায় থাকতেন তিনি। আজ সকালে পরিচারিকা বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া না পেলে সন্দেহ হয় তাঁর। এরপর বিধাননগর উত্তর থানায় খবর দেন ওই পরিচারিকা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ঘরে প্রবেশ করলে সেখানে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত অবস্থায় পূর্ণেন্দু মণ্ডলকে পাওয়া যায়।
এরপর দেহ উদ্ধার করে বিধাননগর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়েছে। আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, সল্টলেকে বেপরোয়া লুঠের চেষ্টা দুষ্কৃতীদের। A H ব্লকে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, লুঠপাটের উদ্দেশ্যে জড়ো হয় ৫ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী। যখন তারা একটি বাড়িতে হানা দেওয়ার চেষ্টা করে, তখন এক স্থানীয় বাসিন্দা দেখে ফেলেন। তিনিই খবর দেন বিধাননগর পূর্ব থানায়। সেই সময় দুষ্কৃতীরা একটি বাড়ির বাইরের গেট ভেঙে ফেলে। পাইপ বেয়ে ওঠার চেষ্টা করে অন্য একটি বাড়ির ছাদে। ইতিমধ্যে পুলিশ পৌঁছে যায়। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে দাবি, ঘটনাস্থলে ছিল ২ দুষ্কৃতী। পুলিশ তাদের ধরতে গেলে তারা পুলিশ কর্মীর হাতে কামড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে দোমুথা এলাকায় এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্য। পরিবারের দাবি, রবিবার রাতে বাড়ি থেকে মোটরবাইক নিয়ে বেরোন ওই যুবক। তারপর আর তিনি ফিরে আসেননি। পরে বাড়ির বেশ কিছুটা দূরে বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পরিবার। ইসলামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত ঘোষণা করেন। পুরনো কোনও বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।