কলকাতা: পুরভোটে অশান্তির অভিযোগে আজ ১২ ঘণ্টা রাজ্য জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। যাদবপুরে বনধ সমর্থক বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় গন্ডগোল হয়। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ বিজেপি কর্মীরা এইট বি মোড় অবরোধ করতে গেলে সরিয়ে দেয় পুলিশ।  ফের দ্বিতীয় দফায় পথ অবরোধের চেষ্টা হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। 


অন্যদিকে, হাজরা মোড়ে বিজেপির দফায় দফায় বিক্ষোভ। প্রথমে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় বসতে গেলে পুলিশ তাঁদের তুলে দেয়। ফের দ্বিতীয় দফায় রাস্তা অবরোধ করতে যান বিজেপির মহিলা কর্মীরা। পুলিশ তাঁদেরও সরিয়ে দেয়।                                                         
 


এদিকে, বড়বাজারে সকাল সাড়ে ৯টায় দেখা যায়, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক। দোকানপাটও খোলা রয়েছে। বালিগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক। সকাল ৬টা নাগাদ দেখা গেল, অন্যান্য দিনের মতোই ট্রেনে যাত্রীদের ভিড়। সকাল ৬টা ৪০ নাগাদ রুবি মোড়ে দেখা গেল, সরকারি ও বেসরকারি বাস অন্যান্য দিনের মতোই চলছে। রাস্তায় রয়েছে ট্যাক্সি, অটো।  পুলিশ রয়েছে রাস্তায়। 


অন্যদিকে, কোচবিহার শহরে বনধের তেমন প্রভাব পড়েনি।  রাস্তায় রয়েছে সরকারি বাস, অটো, টোটো। তবে বেসরকারি বাস বন্ধ রয়েছে। শহরের রাস্তায় চলছে পুলিশের টহল।  তবে সকাল সোওয়া ৭টা নাগাদ কোচবিহার শহরের পাওয়ার হাউস এলাকায় কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে কর্মীদের নিয়ে সরকারি বাস আটকে দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়।


দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে বনধকে ঘিরে উত্তেজনা। আজ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডুর নেতৃত্বে বনধ সমর্থকরা বালুরঘাটের সরকারি বাসস্ট্যান্ডের সামনে পিকেটিং করেন। সেইসময় পুলিশের বিশাল বাহিনী গেলে বনধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।  বিজেপি বিধায়ককে পাঁজাকোলা করে তুলে সরিয়ে দেয় পুলিশ। বালুরঘাটে সরকারি বাস চললেও বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড ফাঁকা।  দোকানপাট বেশিরভাগ বন্ধ।