Bowbazar House Cracked Live : বউবাজারের দুর্গা পিটুরি লেনে বিপর্যয়ের আঁচ পড়েছে স্বর্ণশিল্পেও! বন্ধ দোকান ও কারখানা
Bowbazar Incident : বুধবার সন্ধেয় ২০১৯-এর সেই দুঃসহ স্মৃতি ফিরল বউবাজারে। এই সংক্রান্ত সমস্ত খবরের আপডেটে চোখ রাখুন...
১৯-এর আতঙ্ক ’২২-এ ফিরল বউবাজারে। দুর্গাপিতুরি লেনে একের পর এক বাড়িতে ফাটল। ঘর ছাড়া ৮২ জন। এলাকা ঘিরল পুলিশ।
আড়াই বছর আগে মেট্রোর ফিট সার্টিফিকেট পেয়ে দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়িতে ফিরেছিলেন ঘরছাড়ারা। কিন্তু ফের মেট্রোর কাজের জন্য ফাটল দেখা দিয়েছে বাড়িতে। তাই দ্বিতীয়বারের জন্য ঘরছাড়া জয়সওয়াল পরিবার।
এখানেই মেট্রোর টানেলে কংক্রিট জয়েন্ট বক্স তৈরি করা হচ্ছিল। ৩৮ মিটারের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৯ মিটার কংক্রিটের চাদর বসানো হয়ে গেছে।
মেট্রো চালু হলে কী হবে? হাই পাওয়ার্ড কমিটি গড়ে মেট্রোর কাজের ওপর নজরদারি চালাতে হবে। মন্তব্য তৃণমূল কাউন্সিলরের।
মেট্রোর কাজের জন্য সরছে মাটি, বসছে বাড়ি। পুরনো বাড়ি রাখা কতটা নিরাপদ, পরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত, জানালেন মেয়র।
বড়বাজারে ফাটলের জন্য দুর্গা পিটুরি লেনে ৫৫টি ফের সোনার গয়না তৈরির কারখানা বন্ধ হয়েছে।
''কোন বাড়ি বেশি বিপজ্জনক তা চিহ্নিত করা হবে। পুরসভার রিপোর্ট নিয়ে নবান্নয় হবে বৈঠক।'' এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
২-৩ দিন ধরেই কাঁপছিল বাড়ি, দাবি স্থানীয়দের। দেওয়াল-বাড়ির মেঝে সবই কাঁপছিল, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দার।
করোনা কাল কাটিয়ে সবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। কিন্তু তারমধ্যেই নেমে এল আরেক আঘাত। আবারও টান পড়ল পেটে।
বউবাজারের দুর্গা পিটুরি লেনে যে সব বাড়ি রয়েছে, সেখানে রয়েছে একাধিক ছোট সোনার দোকান। মেট্রোর কাজ চলাকালীন বাড়িতে ফাটল ধরায় বন্ধ হয়ে গেছে সেইসব দোকান
১১টি উৎসের মধ্যে ১০টি বন্ধ করা গেছে, দাবি কেএমআরসিএল সূত্রে। সুড়ঙ্গে জল ঢোকা বন্ধ হলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে দাবি।
মেট্রোর কাজ চলাকালীন ১১টি জায়গা দিয়ে সুড়ঙ্গে ঢুকছিল জল। সুড়ঙ্গে জল ঢোকার জন্যেই বউবাজারের পরপর বাড়িতে ফাটল।
বউবাজারের দুর্গাপিটুরি লেনে ফের একাধিক বাড়িতে ফাটল! কোনও কোনও বাড়ির থেকে খসে পড়ছে ইট!
বউবাজারে ফাটল নিয়ে মেট্রোর দিকে আঙুল স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের।
বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে ফাটল-আতঙ্ক। এলাকায় পুলিশ ও দমকল। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দাদের সাময়িকভাবে অন্যত্র সরে যাওয়ার অনুরোধ জানায় বউবাজার থানার পুলিশ।
বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে ভিতের নীচে মাটি নরম হওয়াতেই বসে যাচ্ছে বাড়ি। পুরনো বাড়ি রাখা কতটা নিরাপদ, খতিয়ে দেখতে বলেছি বিল্ডিং বিভাগকে। ইঞ্জিনিয়াররা অবস্থা খতিয়ে দেখবেন। কোন বাড়ি বেশি বিপজ্জনক তা চিহ্নিত করা হবে। পুরসভার রিপোর্ট নিয়ে নবান্নয় বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত। এদিন বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে এলাকা পরিদর্শনের জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
দুর্গাপিতুরি লেনের ঘরছাড়াদের রাখা হয়েছে হোটেলে, সরানো হবে বাকিদেরও। জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। খাবারের ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ।
মেট্রোর কাজের জন্য সরছে মাটি, বসছে বাড়ি। পুরনো বাড়ি রাখা কতটা নিরাপদ, পরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত, জানালেন মেয়র।
১৯-এর আতঙ্ক ’২২-এ ফিরল বউবাজারে। দুর্গাপিতুরি লেনে একের পর এক বাড়িতে ফাটল। ঘর ছাড়া ৮২ জন। এলাকা ঘিরল পুলিশ। ঘটনাস্থলে মেয়র।
এখনই এই অবস্থা হলে মেট্রো চালু হলে কী হবে? হাই পাওয়ার্ড কমিটি গড়ে মেট্রোর কাজের ওপর নজরদারি চালাতে হবে। মেয়রকে অনুরোধ জানাব, বললেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর।
আড়াই বছর আগে মেট্রোর ফিট সার্টিফিকেট পেয়ে দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়িতে ফিরেছিলেন ঘরছাড়ারা। কিন্তু ফের মেট্রোর কাজের জন্য ফাটল দেখা দিয়েছে বাড়িতে। তাই দ্বিতীয়বারের জন্য ঘরছাড়া জয়সওয়াল পরিবার। মেট্রোর দেওয়া ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা
বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে পরপর সোনার দোকান। কর্মীরা দোকানেই থাকতেন। তাঁদের দাবি, গতকাল নোটিস পাওয়া মাত্র তড়িঘড়ি করে একবস্ত্রে বেরিয়ে আসতে হয়। সকাল থেকে দোকান খোলা যায়নি। ভিতরে বহুমূল্য গয়না থাকায় রাতভর খোলা আকাশের নীচেই কাটিয়েছেন সোনার দোকানের মালিক থেকে শুরু করে কর্মীরা।
দুর্গাপিতুরি লেনের ঘরছাড়াদের রাখা হয়েছে হোটেলে, সরানো হবে বাকিদেরও। জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। খাবারের ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ।
বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল। বন্ধ সোনার দোকান। ভিতরে বহুমূল্য অলঙ্কার থাকায় রাতভর অপেক্ষায় কর্মচারীরা। (
বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল। বন্ধ দোকান। মাল নিয়ে যেতে রাতভর অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা।
বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনে ফের ফাটল। কাল সকাল থেকে বাড়তে শুরু করে ফাটল। ২-৩ দিন ধরেই কাঁপছিল বাড়ি, দাবি স্থানীয়দের
‘দেওয়াল-বাড়ির মেঝে সবই কাঁপছিল’। দ্রুত বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন সবাই। টানেল বোরিং মেশিন বের করার পর কি এই অবস্থা?
মাটি খোঁড়া হচ্ছিল, টানা বৃষ্টিতে মাটি আলগা হয়ে এই পরিস্থিতি? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ
তৃণমূলের চাপে পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হয় মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। তার পরিণাম হয়তো এটা, মন্তব্য দিলীপ ঘোষের।
পরপর বাড়িতে ফাটল। আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন বাসিন্দারা। মাইকে প্রচার পুলিশের। স্থানীয়দের অন্য জায়গায় সরানোর ভাবনা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
বুধবার মধ্যরাতে দুর্গা পিতুরি লেনের অনেক বাসিন্দাকে আতঙ্কে ঘর ছাড়তে হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম জয়েসওয়াল পরিবার। তড়িঘড়ি বাড়ি ছেড়ে এখন হোটেলে। মেলেনি রাতের খাবার টুকুও
প্রায় আড়াই বছর পরে বউবাজারে ফিরল ফাটল-আতঙ্ক। মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজারে ফের পরপর বাড়িতে ফাটল। সন্ধে থেকে বউবাজারের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল। বাড়িতে ফাটল, আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে এলেন বাসিন্দারা। বাড়িছাড়া বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরানোর ভাবনা মেট্রো কর্তৃপক্ষের। টানেল বোরিং মেশিন বের করার জন্য ফাটল কিনা, খতিয়ে দেখছে মেট্রো: সূত্র।
শুধু বাড়ি নয়, রাস্তাতেও ফাটল দেখা গিয়েছে। ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ছাড়লেন স্থানীয় বাসিন্দা। একের পর এক বাড়ি থেকে জামাকাপড় গুছিয়ে বাড়ি ছাড়তে দেখা যায় বাসিন্দাদের। একজনকে বাড়ির পেডেস্টাল ফ্যান নিয়ে যেতে দেখা যায়।
ফের কেন এই পরিস্থিতি ? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা ? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, "২০১৯-এ যেটা ছিল প্রথম অভিজ্ঞতা, ২০২২-এ সেটা রিপিট হচ্ছে। এগুলো কলকাতার পুরনো বাড়ি। এগুলিকে ইটের বাড়ি বলা হয়। এই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরার মূল কারণ, এর যে ভীত সেটা সরতে শুরু করলে তখনই ফাটল হয়। টানেল বোরিং মেশিন যখন আসছিল এদিকে, তখন যে ধরনের কাঁপুনিতে মাটির তলার ভারসাম্য নষ্ট হয়েছিল তাতেই এই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছিল। আবার সেই সমস্যা হলে বুঝতে হবে একই কারণ রিপিট হয়েছে। এটা দৈবযোগে হয়নি। নির্মাণের কারণেই হচ্ছে। নির্মাণকারী সংস্থা হিসেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ এবং যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। ফাটল কতটা চওড়া, দীর্ঘ তার ওপর নজর রাখতে হবে। যদি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ক্রমশ বেড়ে চলে, তাহলে এই ফাটলগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এই বাড়ির বাসিন্দাদের প্রাথমিকভাবে ৭২ ঘণ্টা নিরাপদে থাকা উচিত।"
মধ্যরাতে 'গৃহহীন' বউবাজারের বহু পরিবার। নামমাত্র জিনিস নিয়ে রাস্তায় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের নিয়ে যাওয়া হল হোটেলে।
বাড়িছাড়া বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় সরানোর ভাবনা মেট্রো কর্তৃপক্ষের । টানেল বোরিং মেশিন বের করার জন্য ফাটল কিনা, খতিয়ে দেখছে মেট্রো, খবর সূত্রের। এর আগে ২০১৯ সালেও দুর্গা পিটুরি লেনেই একের পর এক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছিল।
প্রায় আড়াই বছর পরে বউবাজারে ফিরল ফাটল-আতঙ্ক । মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজারে ফের পরপর বাড়িতে ফাটল । সন্ধে থেকে বউবাজারের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল। বাড়িতে ফাটল, আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে এলেন বাসিন্দারা।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা : প্রায় আড়াই বছর পরে বউবাজারে (Bowbazar Incident) ফিরল সেই পুরনো আতঙ্ক। মেট্রোর (Metro Construction) কাজ চলাকালীন বউবাজারে ফের ফাটল। সন্ধে থেকে বউবাজারের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে অভিযোগ। তাতে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে উদ্যত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় আড়াই বছর আগের সেই স্মৃতি ফিরে এসেছে, যখন বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল বহু মানুষকে। এ দিনও ফাটল দেখা দেওয়ায় দলে দলে মানুষ বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
২০১৯-এর ভয়াবহ স্মৃতি ফিরল বউবাজারে
বুধবার সন্ধেয় ২০১৯-এর অগাস্ট মাসের সেই দুঃসহ স্মৃতি ফিরল বউবাজারে। এ বারও ঘটনাস্থল সেই দুর্গাপিতুরি লেন। মেট্রোর কাজ চলাকালীন সেই সময় কমপক্ষে ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে দিতে হয় বেশ কয়েকটি বাড়িও। তাতে দলবলে বাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী ঠিকানায় মাথা গোঁজেন স্থানীয়রা।
এ দিন সন্ধেয় সেই একই গটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে খবর। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মেট্রোর কাজ চলাকালীন এ দিন কমপক্ষে ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। শুধু বাড়িই নয়, রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে। ফলে আতঙ্কে বাড়ি ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয়দের অনেকেই।
এ দিন খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে। মেট্রোের কর্তারাও এলাকায় এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তাঁরা। এবিপি আনন্দের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে বিশ্বরূপবাবু বলেন, "আমি যেটুকু খবর পেয়ে ছুটে এসেছি, বিকেলের অল্প ফাটল ছিল। সন্ধের পর থেকে ফাটল বাড়ছে। অন্তত ১০-১২টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে। আমি বুঝতে পারছই না, ২০১৯-এ এত বড় বিপর্যয়ের পর, কাজ হচ্ছে অথচ সাইটে কেউ নেই। তাদের ইঞ্জিনিয়ারের তো ২৪ ঘণ্টা থাকা উচিত! মেট্রো কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু তাদের কাউকে এখনও দেখতে পাচ্ছি না। একজন ইঞ্জিনিয়ারও নেই। কাউকে চোখে দেখছি না এখনও। কলকাতা পুলিশ রয়েছে, স্থানীয় মুচিপাড়া থানার পুলিশ রয়েছে। কিন্তু মেট্রোর লোকজন কোথায়! তাঁরা তো টেকনিক্যাল লোক! আমি তো তা নই।"
শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে যে বাড়িগুলিতে ফাটল ধরেছিল, এ দিনও সেই বাড়িগুলিতেই ফাটল ধরেছে। তাহলে সেই সময় ঠিক করে বাড়ি সংস্কার করা হয়নি কিনা, প্রশ্ন উঠছে। তাতেও মেট্রো কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -