কলকাতা: মধ্যরাতে বাড়ি ভেঙে পড়েছিল গার্ডেনরিচ (Kolkata Building Collapsed) এলাকায়। বহুতল ভেঙে ইতিমধ্যেই সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত বেশ কয়েকজন। সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গেলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose on Garden reach))। পুরো এলাকায় সরেজমিনে দেখার কথা রয়েছে তাঁর। সম্ভব হলে ঘটনাস্থলের সামনে গিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি। ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, মন্তব্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (WB Governor)।


গার্ডেনরিচের পাহাড়পুরে বহুতল-বিপর্যয়ের ঘটনায় বাম আমলকে দায়ী করলেন মেয়র ও পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, বাম জমানা থেকেই ওই এলাকায় বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, স্বীকার করলেন নজরদারির অভাব ছিল পুরসভার তরফেও। দায় চাপালেন পুরসভার আধিকারিকদের ঘাড়ে। যদিও ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সামস ইকবালকে ক্লিনচিট দিয়েছেন মেয়র। অন্যদিকে, ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান রঞ্জিত শীলের দাবি, পুুকুর বুজিয়ে বছরখানেক ধরে তৈরি হচ্ছিল গার্ডেনরিচের ওই বহুতল। এই এলাকায় পুরসভার সঙ্গে প্রোমোটারদের লুকোচুরি খেলা চলে।বহু ক্ষেত্রেই দোতলা, তিনতলা তৈরির ছাড়পত্র নিয়ে বানিয়ে ফেলা হয় ৫ তলা, ৬ তলা বাড়ি। ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের সামস ইকবাল এদিন সকালেই দুবাই থেকে কলকাতায় ফেরেন। 


উঠছে নানা অভিযোগ:
ঘিঞ্জি এলাকা। গায়ে গায়ে ঝুপড়ি, বাড়ি, বহু মানুষের বাস গার্ডেনরিচের পাহাড়পুরের ফতেপুর ব্যানার্জি পাড়া লেনে। সামনে আসছে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। ৩ ফুট রাস্তার ওপর কীভাবে তৈরি হচ্ছিল ৬ তলা বহুতল? প্রশ্ন স্থানীয়দের। তাঁদের অভিযোগ, পুকুর বুজিয়ে গত একবছর ধরে তৈরি হচ্ছিল এই বহুতল। সংকীর্ণ গলির মধ্যে এল-শেপের ৬ তলা বাড়ি উঠেছিল লম্বালম্বিভাবে। স্থানীয়দের দাবি, বেআইনি নির্মাণে বাধা দিলেও গ্রাহ্যই করেননি প্রোমোটার। পুলিশ-প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কীভাবে নির্মাণে ছাড়পত্র মিলল প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 


এদিন গার্ডেনরিচে গিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সজল ঘোষ। বহুতল-বিপর্যয়ের ঘটনায় এদিন পাহাড়পুরের ওই এলাকায় যান বিজেপি নেতা। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: চার মাস বয়সেই ২৪০ কোটির মালিক, নাতিকে উপহার নারায়ণ মূর্তির