কলকাতা: চুলের সমস্যা একেক সময় প্রচন্ড ভোগায়। চুল ঠিকমতো বড় না হওয়া, ডগা ফেটে যাওয়া, রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও সবচেয়ে বড় সমস্যা চুল পড়ে যাওয়া। চুলের হাজার একটা সমস্যার সমাধান করতে বেশ কিছু টোটকা অবশ্য রয়েছে। অনেকেই বাড়িতে সেই টোটকাগুলি কাজে লাগান। তাতে কেউ কেউ সুরাহা পান, কেউ আবার পান না। এর বড় কারণ হল চুল কী জল দিয়ে ধোওয়া হচ্ছে, সেটাও দেখা জরুরি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেইস্নান করার সময় আমরা কলের জলের উপর ভরসা রাখি। সেই জল দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করি, কন্ডিশনার লাগাই। কিন্তু সেই জল হার্ড ওয়াটার নয় তো ?
হার্ড ওয়াটার আদতে কী ?
আয়রন ওয়াটার অনেকের কাছেই পরিচিত শব্দ। কিন্তু হার্ড ওয়াটার তুলনায় কম পরিচিত হলেও হতে পারে। আয়রন ওয়াটার বলতে যে জলে আয়রন বেশি, তাকে বোঝানো হয়। কিন্তু শুধুমাত্র আয়রনের জন্যই চুলের ক্ষতি হয়, তা নয়। বরং আয়রনের পাশাপাশি অন্য বেশ কিছু খনিজ পদার্থ জলে থাকে। যেগুলি চুলের ক্ষতি করতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হল ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, বিভিন্ন বাইকার্বোনেট যৌগ। সাধারণভাবে খনিজ পদার্থ আমাদের শরীরের জন্য ভাল। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে বেশি হলে তা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। আর সেটাই করে আমাদের চুলের ক্ষেত্রে। এই সব খনিজ পদার্থ মেলানো মেশান জলকেই হার্ড ওয়াটার বলে।
হার্ড ওয়াটার থেকে চুলকে বাঁচানোর উপায়
ওয়াটার ফিল্টার - শাওয়ার বা কলের মুখে একটি ওয়াটার ফিল্টার বসিয়ে নিতে পারেন। এটি একদিকে সাশ্রয়ী, অন্যদিকে জল থেকে খনিজ পদার্থ বার করে দেয়। জল খুব বেশি ‘সফ্ট’ করে না এই ফিল্টার। কারণ তাহলে কোনও কিছু পরিস্কার করার কাজ ঠিকমতো হবে না।
আরও বা ওয়াটার সফেনার - হার্ড ওয়াটার থেকে চুলকে বাঁচাতে বাথরুমের কলে আরও বা ওয়াটার সফেনার লাগানো যেতে পারে। এটি জল থেকে অতিরিক্ত খনিজ পদার্থ বার করে দেয়। কিন্তু জলকে অনেকটাই ‘সফ্ট’ করে দেয় আরও।
সঠিক শ্যাম্পু - জল যদি হার্ডই হয়, তাহলে শ্যাম্পু বেছে নিন ঠিকটি। যে শ্যাম্পুতে সোডিয়াম ক্লোরাইড, সালফেট, প্যারাবেন ইত্যাদি নেই, সেই শ্যাম্পুই ব্যবহার করুন।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।