সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : রবিবার রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা কলকাতায়। গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ ভেঙে মৃত ২। মৃত দুই মহিলার নাম  সামা বেগম ও হাসিনা খাতুন ।  ঘটনায় আহত একাধিক । মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।


পুকুর বুজিয়ে নির্মাণ, অভিযোগ


একটি বাড়ি ভাঙার অভিঘাত এসে পড়েছে পাশের বাড়িগুলির উপরেও। পাশাপাশির বাড়িগুলোরও ভেঙেছে ছাদের একাংশ, দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। আতঙ্ক কাটছে না স্থানীয়দের। তাঁদের অভিযোগ, পুকুর বুজিয়ে বাড়ি তৈরি হচ্ছে, সংকীর্ণ রাস্তা, ৩ ফুটের রাস্তায় তৈরি হচ্ছে বহুতল । কীভাবে সম্ভব ? প্রশ্ন স্থানীয়দেরই। আর এই পরিস্থিতিতে  বহুতল বিপর্যয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। 

ফিরহাদকে খোঁচা শুভেন্দুৃর


পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন, 'গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ তলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ওই এলাকা মেয়র ও পুরমন্ত্রীর তথাকথিত দুর্গ বলে পরিচিত। হতাহতর সংখ্যা নিয়ে একের পর এক ফোন আসছে। দুর্গতদের উদ্ধারে অবিলম্বে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী পাঠান। ' মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও কলকাতার সিপি-কে উদ্দেশ্য করে পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। 


সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি নেতা ইন্দ্রনীল খান। তিনিও প্রশ্ন তোলেন, এই সংকীর্ণ এলাকায় কীভাবে এমন বহুতল নির্মাণ হয় ? 


উদ্ধারকাজে চ্যালেঞ্জ 


রাতেই ঘটনাস্থলে চলে আসে দমকল ও বিপর্ষয় মোকাবিলা বাহিনী। চলে আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। চেষ্টা হয় ক্রেন এনে সিমেন্টের চাঙড় সরানোর। কিন্তু দীর্ঘ সংকীর্ণ গলিপথের শেষে ঘটনাস্থলে যন্ত্রপাতি নিয়ে পৌঁছোনো যায়নি প্রায় ভোর রাত পর্যন্ত। রাত দুটো থেকে কাজ শুরু করে এনডিআরএফ। তাঁরা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে কংক্রিটের চাঁই কেটে কেটে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। ধ্বংসস্তূপের নীচে আর কেউ চাপা পড়ে আছেন কিনা, খোঁজ চালাচ্ছেন পুলিশ, দমকল কর্মী ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা।


ভোর হতে গতি পেয়েছে উদ্ধারকাজ। ইতিমধ্যেই ২ টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি ১৫ জন। তার মধ্যে ৬ জন রয়েছেন আইসিইউতে।তাদের মধ্যে আছে ২ নাবালক। হাসপাতালের বেডে শুয়ে চলছে লড়াই।   


আরও পড়ুন :                 


গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে মৃত ২, হাসপাতালে যুঝছেন ১৫ জন