কলকাতা: প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ করা। তারপর, নাম করে কুণাল ঘোষকে আক্রমণ। মদন-বাণে, দিনভর টানটান টানাপোড়েনের পর, সন্ধেয় নাটকীয় পটপরিবর্তন হল। হঠাৎই কুণাল ঘোষের চাঁদনিচকের অফিসে পৌঁছে গেলেন মদন মিত্র। দু-দফায় প্রায় ১ ঘণ্টা কথা হল দু-জনের। কিন্তু, হঠাৎ কেন কুণাল ঘোষের অফিসে গেলেন মদন মিত্র? যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা?



কুণাল ঘোষের অফিসে গেলেন মদন মিত্র: স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উত্তর দিয়েছেন মদন মিত্র। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “কুণালের সঙ্গে একটু গল্প করলাম। প্রেমের গল্প করতে আসিনি, আর কয়লা পাচারের গল্প করতেও আসিনি। রাজনীতির কথা হয়েছে। কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাড়ে চারশো মামলা থাকা সত্বেও তিনি আমাদের মুখপাত্র। এখনও কুণাল এই দলের জন্য যতখানি রিস্ক নিয়ে রাস্তায় নামে অনেকে নামে না।’’


পাশাপাশি আরও বলেন, “যে ল্যাঙ্গোয়েজে মণিময় বলেছে, সেটা হল দেখে নেব। এখন যদি একজন আমলা বলে দেখে নেব, এসব আমলা-চামলা, আমাদের নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ লেভেলে দেখে, পাঁচ-ছটার কমে সিবিআইয়ের কেস নেই। আমাদের স্ট্যাটাস আছে, এত বাচ্চা লেভেলে বলি নাকি। আমাদের চকমালে জায়গায় নাম হয় চমকাইতলা হয়ে যায়, আমি মদন মিত্র।’’ রবিবার, ফের SSKM হাসপাতালে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মদন মিত্র।


বৃহস্পতিবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ল্যাব টেকনিশিয়ান বছর ২৪-এর শুভদীপ পাল। পরিবারের অভিযোগ, গতকাল SSKM-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে, গুরুতর জখম শুভদীপের কোনও চিকিৎসাই করেননি কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। ভর্তি করতেও অস্বীকার করেন তাঁরা। রাত ২টো নাগাদ হাসপাতালেও গিয়েও আহত যুবককে ভর্তি করতে ব্যর্থ হন মদন মিত্র। শেষপর্যন্ত তাঁর চেষ্টায় ওই যুবককে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাইক দুর্ঘটনায় আহত যুবককে SSKM-এ ভর্তি করাতে না পেরে বিস্ফোরক মদন মিত্র। মাঝরাতে স্বাস্থ্য সচিব, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাসকে ফোন করে ভর্তির অনুরোধ জানিয়েও খালি হাতে ফিরতে হল কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ককে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ মদন মিত্র সাধারণ মানুষের জন্য SSKM বয়কটের ডাক দিয়েছেন। 


এদিন তিনি বলেন, "অনুরোধ একটাই একমাসের মধ্যে ভোট করবেন। কী দিয়েছেন? গেলে একটা বিধায়ক পদ যাবে। দরকারে টিউশন করে খাব। আমি যদি বই লিখি, সেই বই বেস্ট সেলার হবে। বইমেলার থিম যাই করুন না কেন, আমার বই-ই বেস্ট সেলার হবে।'' অবস্থানে অনড় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর কথায়, 'আমি মুকুল, সোনালী, শুভেন্দু, দীনেশ ত্রিবেদী নই, আমি মদন মিত্র'। কুণালের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা ছিল, এখন দলের প্রিয় মুখপাত্র। চাইলে দল ছেড়ে দেব, কিন্তু প্রতিহিংসার শিকার যেন না হয় পরিবার।' 


আরও পড়ুন: Aloe Vera: গরমের মরসুমে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা, সমাধান পাবেন এইসব সমস্যা থেকে