এগরা : এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডের (Egra Blast Incident) তদন্তে ভানু বাগের বাড়িতে সিআইডি (CID)। ভানু বাগের বাড়ি থেকে ১১ বস্তা বাজি তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ ও সিআইডি। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ। গতকাল কটকের হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ভানুর জামাই নিশিকান্ত পালকে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডি-র। ভানুকে কটকের হাসপাতালে ভর্তি করতে অ্যাডমিশন স্লিপে সই করেছিলেন এই নিশিকান্ত। ভানুকে কোথায় কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জানতে চান তদন্তকারীরা।
রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিন্নভিন্ন দেহ। জলে ভাসছে দগ্ধ মৃতদেহ। গাছে, ঝোপঝাড়ে ছড়িয়ে ছড়িয়ে পোড়া দেহাংশ। এগরায় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ভানু বাগের বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এই ছবি দেখে শিউরে উঠেছিলেন রাজ্যবাসী। সেই ঘটনার ৫ দিনের মাথায় গুরুতর জখম আরও একজনের মৃত্যু হয় আজ, শনিবার। এদিন দুপুরে এসএসকেএমে মারা যান বছর ২৬-এর পিঙ্কি মাইতি । বিস্ফোরণে শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল পিঙ্কির। শুক্রবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছিল বিস্ফোরণে গুরুতর জখম রবীন্দ্রনাথ মাইতির। বিস্ফোরণের কয়েক দিন আগেই কারখানায় কাজে ঢুকেছিলেন তিনি। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৮ জনের। পরে ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে মারা যান বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ। প্রসঙ্গত, এগরা থেকে পালিয়ে ওড়িশার কটক ! মাঝপথে একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা। শেষে নাম-পরিচয় ভাঁড়িয়ে কটকের হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। জবানবন্দি নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয় এগরার অবৈধ বাজি ব্যবসায়ী ভানু বাগের !
এদিকে এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের স্ত্রীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিআইডি। ঘটনার পর থেকেই খোঁজ মিলছে না ভানুর স্ত্রীর। এই অবস্থায় মৃত ভানুর ছোট ভাইয়ের জামাই নিশিকান্ত পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, বিস্ফোরণের পর নিশিকান্ত-সহ কয়েকজন ভানুর প্রাথমিক চিকিৎসা করে তাঁকে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। তাই কী ঘটেছিল, তা জানতে ভানুর জামাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভানুর বাজি কারখানায় ২০-২৫ জন কাজ করতেন। কারা কাজ করতেন ? কী ধরনের কাজ হত ? বাজি নাকি বোমা বানানো হত ? তা জানার চেষ্টা করছে সিআইডি।
আরও পড়ুন ; পুড়ে গিয়েছিল শরীরের ৯০ শতাংশ, এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে ফের মৃত্যু