সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: সাত সকালে ধুন্ধুমার কাণ্ড। ২০০০ টাকার নোট বদল করতে লাইন দেওয়া নিয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ। সংঘর্ষের জেরে কলকাতায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে তুলকালাম বাধল। তৃণমূলের অভিযোগ, নোট বদলের লাইন থেকে তোলা আদায় করছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের অনুগামীরা। প্রতিবাদ করায় কাউন্সিলরের অনুগামীরা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করেন।  (Kolkata News)


বৃহস্পতিবার সকালে দু’পক্ষের মধ্য়ে গন্ডগোল বাধে, তার জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মূল ফটক। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশের একটি দল। এ নিয়ে সন্তোষ বলেন, "কারা টাকা চাইছে, কারা বদমায়েশি করছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই বোঝা যাবে। আজ সকালে দেড়-দু'শো মহিলা আমার বাড়িতে গিয়ে জানালেন, তাঁদের উপর ক্ষুর চালানো হয়েছে। আমি দেখলাম দু'জনের শরীরে ক্ষত রয়েছে। আমি ওঁদের হাসপাতালে পাঠাই।" (RBI in Kolkata)


তৃণমূল কর্মীদের দাবি, সন্তোষের অনুগামীরাই তাঁদের মারধর করেছেন। যদিও সন্তোষ জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। বর্ধমান, আসানসোল থেকে দরিদ্র মহিলারা রোজ আসেন, দু'পয়সা রোজগার। ওঁদের মেরে লাইন থেকে বের করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তিনি। 


আরও পড়ুন: Bankura News: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CID-র হাতে গ্রেফতার SSC কর্তার স্ত্রী


রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দফতরের সামনে ২০০০ টাকার নোট বদলে নেওয়ার যে লাইন পড়ে, সেখান থেকে অনেককে ঠেলে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, লাইনে দাঁড়িয়ে তোলা আদায় করছিলেন সন্তোষের অনুগামীরা। প্রতিবাদ করতে গেলে মারধর করা হয় দলের কর্মীদের, তাতে বেশ কয়েক জন রক্তাক্ত হয়। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁদের।


তৃণমূলের এক কর্মী বলেন, "আমরা টাকা চাই না।  সন্তোষের অনুগামীরা কিছু মহিলাদের এনে হম্বিতম্বি করে। লাইনে এসে ২০০ টাকা করে চায়। এর প্রতিবাদ করেন হকাররা। সকাল ৫টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খেটে ৫০০ টাকা রোজগার হয়, তাই টাকা দেবেন না বলে জানান। এর পরই অশান্তি বাধে। তার পর মারামারি শুরু করে দেয়। সন্তোষ বলেন, উনি কাউন্সিলর, টাকা ওঁর লাগবে।"


এদিন এই ঝামলার জেরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়েছে। ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে গার্ডরেল, বাঁশ উপড়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশ কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের দুই দিকে সরিয়ে রেখেছে, যাতে কেউ কারও মুখোমুখি না হয়। এলাকা খালি করার চেষ্টা চলছে। দুই তরফেই পুলিশের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত।