সত্যজিত্‍ বৈদ্য, কলকাতা: হোমওয়ার্ক করেনি, সেই কারণে লাঠি দিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠল। দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হল পরিবার। ছাত্রের বাড়িতে এসে দুঃখপ্রকাশ করেছেন শিক্ষিকা। সতর্ক করা হয়েছে শিক্ষিকাকে, জানানো হয়েছে স্কুলের তরফে। 


শাসনের নামে পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ ঘিরে সরগরম শহরের অভিভাবকমহল। পরিবারের অভিযোগ, পরিস্থিতি এমনই হয়েছে যে স্কুলের নাম শুনলেই বিছানায় শুয়ে আঁতকে উঠছে পড়ুয়া। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সকালে স্কুল থেকে ফেরার পর ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন চোখে পড়ে। প্রথমে কিছু বলতে চায়নি পড়ুয়া। পরে সে জানায়, হোমওয়ার্ক না করায় স্কুলের শিক্ষিকা লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছেন। ছাত্রের মা বলেছেন, 'প্রথমে কিছু বলতে চায়নি। জোরাজুরি করতে পরে বলে।' ঘটনাটি জানার পরই, লেক থানার দ্বারস্থ হয় পরিবার। চিকিত্সার জন্য ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। ছাত্রের বাবা এদিন বলেন, 'থানায় জানিয়েছি। এই ঘটনা যাতে না ঘটে তাই চাইছি।'


ক্ষমা চেয়েছেন শিক্ষিকা:
ঘটনা জানাজানি হতেই, আহত ছাত্রের বাড়িতে আসেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সতর্ক করা হয়েছে শিক্ষিকাকে। 


স্কুলের বক্তব্য:
স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, 'আমরা পরিচালন সমিতির বৈঠক ডাকব। কর্পোরাল পানিশমেন্ট যাতে না হয় দেখব। এই অনভিপ্রেত। ওই শিক্ষিকাকে সতর্ক করা হয়েছে।'


আইন আছে, আইনে কড়া শাস্তির বিধানও আছে! তা সত্বেও কেন পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না ‘কর্পোরাল পানিশমেন্ট’? শাসনের নামে কেন চলছে পড়ুয়াদের ওপর নির্যাতন? উঠছে প্রশ্ন। দ্রুত বন্ধ হোক এসব- দাবি আহত ছাত্রের অভিভাবকদের। এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য বার বার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। 


আরও পড়ুন: খাবারে ডিম নেই কেন ? আচমকাই আসানসোলের স্কুলে অগ্নিমিত্রা