প্রবীর চক্রবর্তী ও সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : দিন দশেক আগেই সিন্ডিকেট বিবাদ (Syndicate Clash) ঘিরে, তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে (TMC Inner Clash) উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বেহালার (Behala) চড়কতলা। উঠেছিল গুলি ছোড়ার অভিযোগও। গত মঙ্গলবার দুই প্রোমোটারের গুলির ডুয়েলে রক্তারক্তিকাণ্ড ঘটে গেছে বাঁশদ্রোণীতে (Bashdroni)। তিন দিনের মধ্যেই, শহরের বুকে ফের প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্রের ঝলকানি। এবার ঘটনাস্থল বেহালার পর্ণশ্রী।
ঠিক কী ঘটেছে
পর্ণশ্রীতে ফুটপাথে দোকান বসানো ঘিরে বচসা। দোকান লাগোয়া কারখানা মালিকের হুমকি। তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকির ভিডিও ভাইরাল। দোকানে বেআইনি নেশার জিনিস বিক্রি হয়, অভিযোগ কারখানা মালিকের। অন্যদিকে, প্রতিবাদ করলে শাবল বার করে মারতে আসে দোকান মালিক। তার পরই নিজের সুরক্ষার জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র বার করতে হয়, দাবি কারখানা মালিকের।
গন্ডগোলের সূত্রপাত একটি ঝুপড়ি দোকানকে কেন্দ্র করে। বেহালা ফ্লাইং ক্লাবের কাছে উপেন ব্যানার্জি রোডে একটি কারখানার সামনেই ফুটপাতে ঝুপড়ি দোকান আছে বিট্টু দাসের। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই দোকানটি সরানোর জন্য চাপ দিচ্ছিলেন কারখানার মালিক দেবাশিস চক্রবর্তী।বৃহস্পতিবার যা চরম আকার নেয়। দোকান মালিকের সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর। এরপরই পকেট থেকে পিস্তল বের করেন কারখানার মালিক। অন্যদিকে কারখানা মালিকের পাল্টা অভিযোগ, ঝুপড়ি দোকানে নেশার জিনিসপত্র বিক্রি হওয়ায়, অনেক মানুষের ভিড় থাকত। যেকারণে এলাকায় মাঝেমধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হত। বৃহস্পতিবারের ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে তাঁর দাবি, আত্মরক্ষার স্বার্থে তিনি নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র বের করেছিলেন।
প্রশাসনের কী পদক্ষেপ
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, গন্ডগোলের পরই ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ও বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে, ঝুপড়ি দোকানটি সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেখানে কেউ আবার বালি ফেলে যান। এর জন্য কাউন্সিলের দিকে আঙুল তুলেছেন কারখানার মালিক। যদিও কারখানা মালিকের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রত্না। দোকান ও কারখানার মালিক, দু-পক্ষই একে অন্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশের সূত্রে খবর কারখানা মালিকের আগ্নেয়াস্ত্রটির লাইসেন্স রয়েছে। ২০০৭ সাল থেকেই পিস্তলটি তাঁর। কিন্তু কী কারণে তিনি বচসা চলাকালীন পিস্তল বের করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- 'প্রতিবাদী'র বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ, পোষা টিয়ার ডাকে বাঁচল প্রাণ