আবীর দত্ত, কলকাতা : দু'দিন আগেই বিয়ের পাকা কথা হয়েছিল। ঠিক হয়ে গিয়েছিল বিয়ের দিনও (marraige date)। সবে যখন নতুন ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখা শুরু, তখনই সব ভেঙে তছনছ। পাকা দেখার ২ দিন পর গড়ফায় তরুণী 'খুন' (murder)। হবু বর বাড়ি থেকে ঘুরে যাওয়ার পরেই সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার হন তরুণী। হাসপাতালে (hospital) নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা (doctors)।


এবার ময়নাতদন্তের (post mortem report) পর চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাল পুলিশ (police)। 'শ্বাসরোধ করে খুনই করা হয়েছে গড়ফার হবু বধূকে’, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট উল্লেখ করে দাবি পুলিশের। আগেই অভিযুক্ত প্রেমিককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযুক্ত পঙ্কজ দাসের ৬ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ। সম্পর্কজনিত সমস্যার জেরেই খুন বলে সন্দেহ পুলিশের। স্থানীয় সূত্রে দাবি, মৃতার সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের সম্পর্ক ছিল।


কী জানাচ্ছে পুলিশ


সম্পর্কজনিত সমস্যার জেরেই খুন বলে সন্দেহ পুলিশের। জানা যাচ্ছে, খুনের পরে অশোকনগরে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত হবু বর। পরে অশোকনগরের বাড়ি থেকেই অভিযুক্ত হবু বর গ্রেফতার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে মৃতার প্রাক্তন বন্ধুর বাড়িতে আসা নিয়ে হবু বরের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা হয়। সম্পর্কের টানাপোড়েনের এহেন ভয়ানক পরিণতিতে স্তম্ভিভ গোটা এলাকা।


পরিবারসূত্রে কী জানা গিয়েছে


পরিবার সূত্রে খবর, অশোকনগরের বাসিন্দা পঙ্কজ দাসের সঙ্গে ১০ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল গড়ফার সুস্মিতা দাসের। পঙ্কজ আন্দামানের একটি হোটেলে কাজ করেন। দু’দিন আগেই তাঁদের বিয়ের কথা পাকা হয়। তরুণীর পরিবারের দাবি, রবিবার তাঁদের বাড়িতে আসেন হবু বর। দুপুরে খাওয়া দাওয়াও করেন।বিকেলে বেরিয়ে যাওয়ার পরই, সুস্মিতাকে নিজের ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। 


এদিকে, বহরমপুরে ভর সন্ধ্যায় ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা হয়েছে। বহরমপুরের শহিদ সূর্য সেন রোডে ছাত্রীর উপর হামলা হয়। মালদার বাসিন্দা কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর উপর চড়াও। মেস থেকে ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে এসে হামলার অভিযোগ। হামলার পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের অস্ত্র দেখিয়ে চম্পট অভিযুক্ত। কেন ছাত্রীর উপর হামলা? কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা।


আরও পড়ুন- রং খেলার পর প্রেমিকাকে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ মত্ত প্রেমিকের বিরুদ্ধে