আবির দত্ত, কলকাতা : টাকার জন্য খাস কলকাতায় (Kolkata) এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। একাদশীর দিন ভোরবেলা চেতলা রোডে এই ঘটনা ঘটে। সিসি ক্যামেরায় (CCTV Camera) ধরা পড়েছে মারধরের ছবি। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ চৌধুরী (৪৫)। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে চেতলা থানার পুলিশ।
রিবারের দাবি, একাদশীর ভোরে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি চা খেতে বেরিয়েছিলেন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে যায় পুলিশ। গতকাল সন্ধেয় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। টাকার জন্য খুন বলে অভিযোগ পরিবারের। মত্ত অবস্থায় বচসার জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।
ঠিক কী হয়েছে
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বাড়ির সামনের দোকানে চা খেতে গেলে টাকা নেওয়ার জন্য এক ব্যক্তি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে রাস্তাতেই তাঁকে ফেলে দিয়ে ভারী বস্তু বা পাথর জাতীয় কোনও জিনিস দিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়। মৃতদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। আর পুলিশের থেকে যে খবর পেয়ে তাঁরা পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। পরিবারের লোকজন দ্রুত ওই ব্যক্তিকে এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) নিয়ে যান। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা চলছিল। গতকাল সন্ধেবেলা তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গ্রেফতার অভিযুক্ত
পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে ৩০৭ ধারায় মামলা শুরু হয়। যারপর ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে যে ব্যক্তি মারধর করছিলেন, তাঁকে গ্রেফতার কররে পুলিশ। যদিও এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ। নিরাপত্তাহীনতার প্রসঙ্গ সামনে তুলে আনছেন তাঁরা। খাস কলকাতায় এরকম ঘটনা নিয়ে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি এলাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা নেই বলেও অভিযোগ তাঁদের।
পুলিশের বক্তব্য, অভিযোগ পাওয়ার পরেই এলাকার একটি বহুতলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মত্ত অবস্থায় ঝামেলার সূত্রপাত হতে পারে বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে পুলিশের পক্ষে। মৃত ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে আজ। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথাবার্তা চালাচ্ছে পুলিশ।
কিছুদিন আগে দশমীর রাতে নৃশংসা ঘটনা ঘটে নদিয়ার (Nadia News) নাকাশিপাড়ায় (Nakashipara News)। পাড়ার পুজো-প্যান্ডেলের মাইক সাময়িক বন্ধ করা নিয়ে ঝামেলার জেরে এক যুবককে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ। মাইক বন্ধ করে তিনি মোবাইল ফোন খুঁজছিলেন, সেই সময়ই ঝামেলা বাধে, তাঁকে কয়েক জন মিলে বেধড়ক মারধর করেন এবং শেষে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় বলে দাবি পরিবারের (Death)।