সিলেট: তাইল্যান্ডকে ৭৪ রানের বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করে প্রথম দল হিসাবে মহিলাদের এশিয়া কাপের ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করল ভারতীয় দল। বল হাতে ফের একবার অনবদ্য পারফর্ম করলেন দীপ্তি শর্মা। ভারতের হয়ে তিনিই সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন।


দুরন্ত দীপ্তি


১৪৮ রানের পুঁজি নিয়ে এদিন বল করতে নামে ভারত। গত ম্য়াচে তাইল্যান্ডকে মাত্র ৩৭ রানেই অল আউট করে দিয়েছিলেন ভারতীয় স্পিনাররা। তবে এই ম্যাচে এমনটা হল। তাইল্যান্ডকে অল আউট করতে ব্যর্থ হয় ভারতীয় দল। অবশ্য নির্ধারিত বিশ ওভারে তাই ব্যাটারদের অল্প রানেই সীমাবদ্ধ রাখেন ভারতীয় বোলাররা। তাইল্যান্ড প্রথমবার এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে নয় উইকেটে ৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি। ছয় ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে এমনিতেই এশিয়া কাপের অন্যতম সর্বোচ্চ উইকেটসংগ্রাহক ছিলেন দীপ্তি। সেমিফাইনালে তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে আরও তিনটি উইকেট নেন তিনি। 


টপ অর্ডারের রানের দৌলতেই এই টুর্নামেন্টে সাফল্য পেয়েছে তাইল্যান্ড। ভারতীয় বোলাররা সেই তাই টপ অর্ডারকে সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়। দীপ্তি শর্মাই প্রথম আঘাতটি হানেন। তৃতীয় ওভারেই নান্নাপাতকে ফেরান তিনি। মাত্র ২১ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিশাল চাপে পড়ে যায় তাইরা। পঞ্চম উইকেটে ৪২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বটে তাইল্যান্ড, তবে ওই শুরু, ওই শেষ। আর তেমন কোনও পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেনি তাই দল। দীপ্তি ছাড়া রাজেশ্বরী গায়কোয়াড ভারতের হয়ে দুইটি উইকেট নেন।


প্রথম ইনিংস


ম্যাচের শুরুর আগে সিলেটে কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়। সেই আর্দ্র পরিবেশের সাহায্য নিতে সম্ভবত এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তাইল্যান্ড। বিগত দুই ম্যাচে হালকা চোট থাকায় মাঠে নামতে পারেননি হরমনপ্রীত কৌর (Harmanpreet Kaur)। তবে আজ চোট সারিয়ে, সেমিফাইনাল ম্যাচে একাদশে ফেরেন দলের অধিনায়ক হরমন। ব্যাট হাতে এদিন ভারতীয় ওপেনাররা শুরুটা মন্দ করেননি। তবে স্মৃতি মান্ধানা গোটা ইনিংসেই বল ঠিকঠাক টাইম করতে পারছিলেন না। শেষমেশ ১৪ বলে ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।


টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক জেমাইমা রডরিগেজও দ্রুত রান তুলতে ব্যর্থ হন। ২৭ রান করতে ২৬ বল নেন তিনি। অবশ্য শেফালি কিন্তু অপরদিক থেকে বেশ ভাল ছন্দেই ছিলেন। তাঁর দৌলতেই ভারতীয় দল পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৪৭ রান তোলে। শেফালি ২৮ বলে ৪২ রান করেন। তিনি আউট হওয়ার পর ভারতীয় ইনিংস কিছুটা গতি হারিয়ে ফেলে। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর ৩৬ রানের সুন্দর একটি ইনিংস খেলেন বটে। তবে অপর প্রান্ত থেকে তেমন সাপোর্ট পাননি তিনি। শেষের দিকে পূজা বস্ত্রকর ১৭ রানের ছোট্ট ইনিংস না খেললেও হয়তো আরও চাপে পড়তে পারত ভারত। নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে শেষের দিকে মন্থর ব্যাটিংই ভারতকে ১৫০ রানের নীচে থামতে বাধ্য করে। 


আরও পড়ুন: লেওয়ানডোস্কির গোলে রক্ষা পেল বার্সেলোনা, হ্য়াটট্রিক করে ইতিহাস গড়লেন সালাহ