ময়ূখঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: কম সুদে মিলবে ঋণ। হাতে টাকা পেতে বেশি ঝুটঝামেলাও নেই। এমনই নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোবাইলে আসে মেসেজ। কিন্তু তাতেই লুকিয়ে রয়েছে ঘোর বিপদ। লোভের ফাঁদের পড়লেই সর্বনাশ। ওই মেসেজে একটি লিঙ্কও রয়েছে। ভুল করেও সেই লিঙ্কে ক্লিক করে ফেললেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সাফ হয়ে যেতে পারে টাকা। এমনই প্রতারণার শিকার হয়েছেন কলকাতার এক কলেজ পড়ুয়া।    


কী ঘটনা?
পড়াশোনার জন্য ঋণের প্রয়োজন ছিল। তা নিয়েই খোঁজ খবর করছিলেন ছাত্র। সেইসময়েই ঋণ দেওয়ার নাম করে তাঁর মোবাইলে একটি মেসেজ আসে। অভিযো সেখানে ক্লিক করতেই কলেজ স্ট্রিটের বাসিন্দা বেসরকারি ইঞ্জিনিয়রিং কলেজের ওই পড়ুয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে ধাপে ধাপে প্রায় সাড়ে আঠারো হাজার টাকা লোপাট হয়ে যায়। লালবাজারে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছাত্র।


কী দাবি পড়ুয়ার:
প্রতারিত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সঞ্জয় মাইতি জানিয়েছেন,  সম্প্রতি তাঁর মোবাইল ফোনে কম সুদে ঋণ দেওয়ার কথা বলে একটি SMS আসে। মেসেজের একটা লিঙ্কে ক্লিক করতেই, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ বিভিন্ন তথ্য দিতে বলে। একই সঙ্গে বলা হয়, ঋণ পেতে আড়াই হাজার টাকা প্রসেসিং-ফি দিতে হবে। সেই টাকা দিতেই, ধাপে ধাপে অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় সাড়ে আঠারো হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তদন্তে শুরু করেছে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।


আগেও এমন ঘটনা:
আগেও একাধিক বার এমন ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। কখনও ঋণ দেওয়ার নাম করে। কখনও আবার কম দামে জিনিস দেওয়ার নাম করে মেসেজ পাঠানো হচ্ছে। বিভিন্ন নম্বর থেকে পাঠানো হয় ওই মেসেজ। সেখানে লিঙ্কও দেওয়া থাকে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় চলে যায় প্রতারকদের কাছে। তার মাধ্যমেই অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি হয়ে যায় টাকা। অনেক সময় ফোন করেও এমন প্রতারণা চলে। এই ধরনের প্রতারণা ঠেকানোর জন্য কলকাতা পুলিশ তো বটেই। বিভিন্ন জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও সাইবার সেল করা হয়েছে। এমন লিঙ্কে ক্লিক না করার জন্য সচেতন করা হচ্ছে। ব্যাঙ্কের তরফ থেকেও বারবার প্রচার চালানো হয়। তারপরেও প্রায়শই রাজ্যের নানা কোণায় এমন অভিযোগ ওঠে।


আরও পড়ুন:কলকাতা মেডিক্যালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধানকে হুমকির অভিযোগ নির্মল মাজির বিরুদ্ধে