ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: অ্যাডিনো উদ্বেগ বাড়িয়ে শিশুকন্যার মৃত্যু কলকাতায়। পার্ক সার্কাসের হাসপাতালে অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু। শ্বাসকষ্ট নিয়ে কয়েকদিন ধরে আইসিইউ-তে ছিল ওই শিশু। বৃহস্পতিবার পার্ক সার্কাসের হাসপাতালে অ্যাডিনো আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু। বিসি রায় হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় মৃত্যু এক শিশুর। বিসি রায় হাসপাতালে মৃত শিশু অ্যাডিনো আক্রান্ত কিনা, এখনও নিশ্চিত নন চিকিৎসকরা।
আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ। বিভিন্ন হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভিড় বাড়ছে আক্রান্ত শিশুদের। উদ্বেগ বাড়িয়েছে নাইসেডের একটি রিপোর্ট। এই প্রেক্ষাপটেই গাইডলাইন জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালকে শিশুদের জন্য ভেন্টিলেটার এবং অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে।
শিশুদের জন্য কী নির্দেশ জারি?
- '৩ থেকে ৫ দিন টানা জ্বর থাকলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে শিশুদের'
- 'শ্বাস-প্রশ্বাসে অস্বস্তি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে'
- 'রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯২ শতাংশের কম থাকলে ভর্তি করতে হবে হাসপাতালে'
- 'শিশুরা অসুস্থ থাকলে স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ
- ভিড় এড়ানোর পরামর্শ স্বাস্থ্য দফতরের গাইডলাইনে
- মাস্ক ব্যবহারে জোর দেওয়ার পরামর্শ
আরও পড়ুন, সমুদ্রতটে বড় বড় পায়ের ছাপ, ডাইনোসরের না অন্য কোনও দানবীয় প্রাণীর?
সর্দি, কাশি, জ্বর, ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ভুগেই চলেছে বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্যরা। অনেকক্ষেত্রেই ভর্তি করতে হচ্ছে হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ আরও বাড়াল নাইসেড-এর রিপোর্ট। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, গত দেড়মাসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পাঠানো ৫০০-রও বেশি নমুনার মধ্যে ৩২% অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত। ১২%-এর শরীরে মিলেছে রাইনো ভাইরাস। প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে ১৩ %-এর শরীরে। আইসিইউ-তে ভর্তি অধিকাংশের বয়সই ১-২ বছর।
শিশুদের আইসিইউ বা PICU-তে তিল ধারণের জায়গা নেই। বি সি রায় শিশু হাসপাতালে Paediatric Intensive Care Unit বা PICU রয়েছে ২৫টি। সব কটিই বর্তমানে ভর্তি। ইন্সটিটিউট অব চাইল্ড হেলথে ICU-র ১৪টি বেডই ভর্তি। মুকুন্দপুর AMRI-তে ICU-র ১০টি বেডেই অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা চলছে।