কলকাতা : SSC নিয়োগ দু্র্নীতিকাণ্ডে জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ, অর্পিতার ফ্ল্য়াট থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। রাশি রাশি গয়না। এই পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বিধানসভা কেন্দ্র, বেহালা পশ্চিমে দিদির দূত এবং সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির দায়িত্বে দেবাশিস কুমার (Debashish Kumar)। বেহালা পশ্চিমে শুরু হল 'দিদির সুরক্ষাকবচ' কর্মসূচি। কিন্তু, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে এই কর্মসূচি নিয়ে কি কোনও অস্বস্তিতে পড়তে হবে দলকে ?


এপ্রসঙ্গে সরাসরি দেবাশিস কুমার জানিয়ে দেন, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রত্না চট্টোপাধ্যায় থেকে দেবাশিস কুমার, তাঁরা একটাই প্রতীকের নীচে থাকেন, সেটা হল তৃণমূলের প্রতীক। তৃণমূলের সিম্বল যাঁর কাছে থাকবে, তিনি তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। এখানে ব্যক্তিবিশেষ নয়, দল রয়েছে। তাছাড়া অস্বস্তির কোনও কারণ নেই। তার কারণ, দল পরিষ্কারভাবে বলেছে, অন্যায় কাজের সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই। যাঁরা করেছেন, যদি অন্যায় প্রমাণ হয় তাহলে তাঁর দায়িত্ব। বিচারব্যবস্থার ওপর আমরা আস্থাশীল। বিচারাধীন বিষয়ে কথা বলা ঠিক নয়। দল ব্যক্তিবিশেষে চলে না, যৌথ নেতৃত্বে চলে।" 


বিজেপির-তোপ-


পাল্টা তৃণমূলকে একহাত নেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর চাঁচাছোলা বক্তব্য, "পার্থ চট্টোপাধ্যায় আর তৃণমূল কংগ্রেস আলাদা ? দলের জন্মলগ্ন থেকে যিনি দলের সঙ্গে ছিলেন, দলের বিরোধী দলনেতা হিসেবে যিনি দলকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিধানসভার ভেতরে, যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের চরম দুর্দিনে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন, যিনি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন সময়ে বিরোধীদের আক্রমণের একা জবাব দিয়েছেন, সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টিউমারের মতো অপারেশন করে দল থেকে বাদ দিয়ে পাপস্খালন করতে পারবে ? পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে দল কী সিদ্ধান্ত নিল তাতে মানুষের কিছু যায় আসে না। মানুষ তৃণমূল সম্পর্কে কী সিদ্ধান্ত নিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তিনি যে এলাকার বিধায়ক সেখানকার মানুষ কী সিদ্ধান্ত নিলেন সেটাই বড় কথা।"


পঞ্চায়েত ভোটের আগে, ২ জানুয়ারি, নিজেদের নতুন কর্মসূচি 'দিদির সুরক্ষাকবচ' ঘোষণা করে তৃণমূল। রাজ্য সরকারের ১৫টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রচার ও তার সুযোগ-সুবিধা সবাই পাচ্ছেন কি না, তা দেখতে, বাংলার ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন দিদির দূতেরা। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে জনপ্রতিনিধিদের রাত্রিযাপন, বিশিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সারপ্রাইজ ভিজিট-সহ একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। কর্মসূচির পরবর্তী ধাপে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাবেন দিদির দূতরা। এর জন্য ইতিমধ্যেই 'টিম দিদির দূত' তৈরিতে নেমে পড়েছে শাসকদল। ১১ জানুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে তৃণমূলের নতুন এই কর্মসূচি।