ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : কলকাতায় ফের ডেঙ্গি আক্রান্তর মৃত্যু (Dengue Death)। বেলেঘাটা আইডি-তে মৃত্যু হল দমদম মতিঝিলের কিশোরীর। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোমের উল্লেখ। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দমদমের মতিঝিলের ১৬ বছরের কিশোরী মধু সিংহ। অসুস্থ অবস্থায় গতকাল তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে।


দমদম এলাকায় এক পুর হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে ভর্তি ছিলেন ওই কিশোরী। সেই হাসপাতালের কথাতেই প্রথমে বিকেলে কলেক স্ট্রিটের একটি হাসপাতালে ও তারপর সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়াতে গতকাল সন্ধেয় তাঁকে ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা হাসপাতালে। আর শনিবার দুপুর নাগাদ দমদমের ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। যখন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে (Beleghata ID Hospital) ওই কিশোরীকে নিয়ে আসা হয়, তখনই তাঁর ডেঙ্গি শক সিনড্রোমের মতো পরিস্থিতি ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। হাসপাতালে ভর্তি করার পর দ্রুত সিসিইউতে স্থানান্তর করে সবরকম চেষ্টা করা হলেও বাঁচানো যায়নি ওই কিশোরীকে। 


নাইসেডের (NICED) পাঠানো রিপোর্ট বলছে, এবছর দাপট দেখাচ্ছে, ডেঙ্গির ডেন্ভ্ (denv) টু ও ডেন্ভ্ থ্রি স্ট্রেন। ডেঙ্গি রোগের জীবাণু বহণ করে এডিস ইজিপ্টাই মশা। পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে এই মশা। পুরো জীবনচক্রে মশার শরীরে ডেঙ্গির জীবাণু বেঁচে থাকে। ফলে স্ত্রী মশা ডিম পাড়লে তার মাধ্যমে জন্মানো নতুন মশার শরীরেও ডেঙ্গির জীবাণু সংক্রমিত হয় এবং সেই মশা কামড়ালে রোগ ছড়ায় মানুষের শরীরে। নাইসেড সূত্রে খবর, ডেঙ্গির সাধারণত ৪টি প্রজাতি। তার মধ্য়ে এই দুই প্রজাতি সবথেকে বেশি সংক্রামক। চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত, ১২৪টি ডেঙ্গির নমুনা পরীক্ষা করে নাইসেড। তারমধ্য়ে ৯৩টিতে ডেন্ভ্ থ্রি ও ২৭টিতে ডেন্ভ্ টু প্রজাতির হদিশ মিলেছে বলে জানা গেছে। নাইসেড সূত্রে খবর, গত বছর, মোট ৭১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্য়ে ৩৮১টিতে ছিল ডেন্ভ্ থ্রি ৩১৭ টিতে ডেন্ভ্ টু প্রজাতির হদিশ মেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেন্ভ্ টু-র থেকে ডেন্ভ্ থ্রি তুলনামূলকভাবে সামান্য় কম ক্ষতিকারক। তবে, তাকে একেবারেই হেলাফেলা করা যাবে না।


আরও পড়ুন- মেট্রো-বিভ্রাটে সমস্যায় কয়েক হাজার যাত্রী, ট্রামে-বাসে-অটোয় বাদুড়ঝোলা ভিড়


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial