অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা : হকের চাকরির দাবিতে কাল রাজপথে নামছে আন্দোলনকারীদের 'মহাজোট'। আগামীকাল শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীদের 'মহাজোট'-এর মিছিল। সোমবারের মহামিছিলে যোগ দেবে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের ৯টি মঞ্চ ।
আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের যৌথ মঞ্চের হুঁশিয়ারি, 'রাজনীতিতে যদি মহাজোট হতে পারে, তাহলে চাকরিপ্রার্থীদেরও মহাজোট হতে পারে। শুধু কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গ নয়, প্রয়োজনে অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়বে আন্দোলন'। বিদ্বজ্জনদেরও পাশে থাকার আহ্বান আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের।
কেউ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তো কেউ মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাশে যোগ্য প্রার্থী হয়েও স্কুলে চাকরি না মেলার অভিযোগে, মাসের পর মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তাঁরা। এবার আলাদা নয় একজোট হয়ে মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
মহামিছিলে কারা
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, হকের চাকরির দাবি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সময় থেকে একসঙ্গে রয়েছে ৯ টি মঞ্চ। এবার সেখানে যোগ হয়েছে লাইব্রেরি সায়েন্স। মোট ১০ টি বিভিন্ন বিভাগের চাকরিপ্রার্থীরা একসঙ্গে মহাজোট তৈরি করে হকের চাকরির দাবিতে মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন। আদালতে মামলার পর মামলা হয়েছে নিয়োগ নিয়ে।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে গত কয়েক বছরে নিয়োগ সংক্রান্ত যত পরীক্ষা হয়েছে, তার সবকটিতেই দুর্নীতি হয়েছে। যা এখন স্পষ্ট। হকের চাকরির দাবিতে লড়াইয়ে নেমে এবার তাঁর পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে বলেই শেষমেশ মহাজোট গড়ে মহামিছিলের ডাক তাঁরা দিয়েছেন বলে জানান চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করার পর তাঁরা জীবন্ত লাশে পরিণত হয়েছেন বলেও দাবি চাকরিপ্রার্থীদের।
কলকাতা হাইকোর্টের সম্মতি নিয়ে, সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় শিয়ালদা থেকে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের মহামিছিল শুরু হবে। মিছিল যাবে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত। তাতে সামিল হবেন ৬০০ দিনের উপর আন্দোলন চালিয়ে আসা SLST-র চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা ছাড়াও মিছিলে যোগ দেবেন, ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ, SSC-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-র চাকরিপ্রার্থীরা-সহ অন্যান্য মঞ্চ।
অন্যদিকে ১৭ দিন অবস্থান বিক্ষোভের পর, শনিবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করলেন ২০০৯-এর প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন- আমরণ অনশনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২০০৯-এর প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীরা