ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : হাতিবাগানের (Hatibagan) রেস্তোরাঁয় (Restaurant ) তাণ্ডবের (Ransacked) অভিযোগ। পাল্টা, মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। দু’পক্ষই থানায় (Police Station) অভিযোগ দায়ের করেছে। এক রেস্তোরাঁ কর্মীকে (Resturant Worker) গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)।


রেস্তোরাঁর দেওয়া সিসি ক্যামেরার (CCTV) ফুটেজ অনুযায়ী, ২৬ ডিসেম্বর রাতে সেখানে খেতে যান কয়েকজন যুবক। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ওই যুবকরা প্রথমে রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড়িয়ে মদ্যপান করেন। পরে, রেস্তোরাঁর ভিতরেও মদ্যপান শুরু করেন। অন্য, গ্রাহকরা এর প্রতিবাদ করেন। রেস্তোরাঁর কর্মীরাও মদ্যপানের প্রতিবাদ করলে, শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এমনকী, কর্মীদের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা, অভিযুক্তদের দাবি হোটেলকর্মীরাই তাঁদের মারধর করেছেন। দু'জন জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। একজনের মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে বলেও অভিযোগ তাদের। যদিও, রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের দাবি, মত্ত অবস্থায় সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়, পড়ে গিয়ে আঘাত লেগেছে।


ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষই বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে, এক রেস্তোরাঁ কর্মীকে।



করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কখনও পাঁচ তারা হোটেল, কখনও আবার বার-কাম-রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে করোনা বিধি ভাঙার প্রবণতা সামনে এসেছিল। বিধি ভেঙে শহর থেকে জেলায় চলছিল হুল্লোড়। কলকাতার পার্ক হোটেল, হোটেল হিন্দুস্তানের পর শিরোনামে আসে শিলিগুড়ির বার-কাম-রেস্তোরাঁ।  করোনা-বিধি উড়িয়ে মধ্যরাতে কলকাতার অভিজাত পার্কস্ট্রিটের পাঁচতারা হোটেলে স্যাটার্ডে নাইট পার্টি চলেছিল। বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। যে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল ৩৭ জনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মার্সিডিজ-সহ ২টি বিলাসবহুল গাড়ি। বিদেশি মদের বোতল ও গাঁজা। কয়েক মাসের জন্য পার্ক হোটেলের মদ্যপান দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছিল।


আরও পড়ুন- রেড ভলান্টিয়ার থেকে চিকিৎসক-আশাকর্মী; কঠিন, বিপন্ন সময়ে মুখে হাসি ফুটিয়েছেন যাঁরা