অনির্বাণ বিশ্বাস ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: তিলোত্তমার বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipality)। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শহরজুড়ে শুরু হল বিশেষ অভিযান। অন্যদিকে, বিধাননগর পুর এলাকায় রাস্তার ধুলো ওড়া আটকাতে ব্যবহার করা হবে জল স্প্রে করার গাড়ি। 


শহরে শীতের আগমনীর মধ্যেই বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা। ধুলো-ধোঁয়ার দাপটে কলকাতার বাতাসে বাড়ছে বিষ। বায়ুদূষণের বিপদঘণ্টি বাজতেই নিয়ন্ত্রণে তৎপর হল কলকাতা পুরসভা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।                                 


কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, তিলোত্তমার বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোট ৩২টি বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে চলবে অভিযান। ৩ ধাপে কাজ করবে এই বিশেষ গাড়িগুলি। গাড়িতে থাকা ওয়াটার মিক্স ক্যানন প্রথমে জল স্প্রে করে ভাসমান ধূলিকণাকে নীচে নামাবে। রাজপথ থেকে ধুলো হঠাতে জল দিয়ে রাস্তা ধোয়ার কাজ করবে ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার।                                                                 


আরও পড়ুন, তৃণমূল তো ৫০০ দিচ্ছে, বিজেপি এলে ২০০০ টাকা দেবে, 'কথা দিলেন' সুকান্ত


মেকানিকাল সুইপার রাস্তার আশেপাশে জমে থাকা আবর্জনা সাফাই করবে।  কলকাতা পুরসভা মেয়র ফিরহাদ হাকিম, "বায়ুদূষণে দিল্লির পরেই কলকাতা। সেকথা মাথায় রেখেই উদ্যোগ।" কলকাতাকে দূষণ মুক্ত রাখতে বর্ষা আসার আগে পর্যন্ত এই অভিযান চলবে, বলে পুরসভা সূত্রে খবর। পুলিশের সাহায্য নিয়ে উনুনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।


মেয়রের মতে, "ফসিল ফুয়েল বা কাঠকয়লা জাতীয় উনুন পুলিশের সাহায্য নিয়ে নিষিদ্ধ করা হবে। নির্মীয়মাণ বাড়ি যাতে কভার করে কাজ করা হয় নিশ্চিত করবে কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট।" বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলকাতায় বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ, ডিজেল চালিত গাড়ির ধোঁয়া। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণে শহরে ব্যাটারিচালিত বাসের সংখ্যা বাড়ানোর ওপরে জোর দিচ্ছে কলকাতা পুরসভা।                                   


কলকাতা পুরসভার পাশাপাশি বিধাননগর পুরসভার পক্ষ থেকেও নেওয়া হচ্ছে একই উদ্যোগ। পুরসভার বিশেষ গাড়ির মাধ্যমে পথে পথে জল স্প্রে করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শনিবার, করুণাময়ীতে এমনই ২টি জলের গাড়ির উদ্বোধন করেন বিধাননগরের বিধায়ক ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। উপস্থিত ছিলেন বিধানননগর পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তারা।


এখন দেখার, এই উদ্যোগে কলকাতায় বুক ভরে কতটা অক্সিজেন মেলে।