কলকাতা: পশ্চিম বর্ধমান জেলার লাউদোহাতে এদিন মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) নিয়ে সভা করেন রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সেই সভা মঞ্চ থেকেই বড় ঘোষণাও করেন তিনি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে তৃণমূল নেতাদের মন্তব্য ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সেই প্রেক্ষাপটেই সুকান্ত মজুমদার বলেন যে বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে ২ হাজার টাকা দেবে।                                                                                       


ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার? 


রাজ্য বিজেপির সভাপতির কথায়, "আজকে যারা তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে রেখেছে। কী আর পাচ্ছে তাঁরা? কী পাচ্ছিস রে ভাই? তৃণমূল তো লক্ষ্মীর ভান্ডারে মাত্র ৫০০ টাকা দিচ্ছে। ৫০০ টাকায় সংসার চলে? বিজেপি আসলে ২ হাজার টাকা করে প্রতি মাসে দেবে। আমি এই মঞ্চ থেকে কথা দিয়ে গেলাম। তৃণমূলের কর্মীরা ৫০০ টাকার জন্য পতাকা লাগাচ্ছে, এদিকে ওদের দলের পার্থদা বউ এর নামে কত টাকা নিয়ে নিয়েছে। তাও আবার হাফ-বউ এর নামে। তাতেই ১৯ কোটি-১৭ কোটি টাকা।"                                                                                  


আরও পড়ুন, ‘সরকারের সুবিধে নিলে সরকারকেও দেখতে হবে’, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিনিময়ে ভোটের হুঁশিয়ারি


এদিকে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের  বিনিময়ে ভোটের হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার! রাজ্যের তৃণমূল সরকারের ঋণ স্বীকারের কথা রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি।                                                   


উত্তর ২৪ পরগনার কাটিয়াহাটের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রকাশ সর্দার মহিলাদের উদ্দেশে বলেন, "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন তো? মুখ্যমন্ত্রীর কথা মনে রাখতে হবে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট, দিদির কথা কিন্তু মনে রাখতেই হবে। বলতে হয় না যেন, আর একটা লোকও যেন বাকি না থাকে"। এদিন মহিলাদের এমনই ফরমান দিলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রকাশ সর্দারের। তিনি বলেন, ‘সরকারের সুবিধে নিলে সরকারকেও দেখতে হবে। যদি অন্য দলকে সমর্থন করেন, পরিষেবাও অন্য দল থেকে নিতে হবে’।                                                                 


‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-সহ রাজ্য সরকারের নানা সামাজিক ও উন্নয়মূলক প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করতে চলছে ‘দুয়ারে সরকার’-প্রকল্প। লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন মহিলারা। সেখানেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফরমান ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আর, বিতর্কের মুখে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে, সুর আরও চড়া করেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি।