কলকাতা : জেলে থেকে মহানগর। শহরতলি থেকে শহরের প্রাণ কেন্দ্র। বর্ষা আসতেই একের পর এক বিদ্যৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। হাওড়া থেকে বাঁকুড়া। হরিদেবপুর থেকে নারকেলডাঙা। এবার তালিকায় সংযোজন ট্যাংরা। কলকাতায় ফের বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল মঙ্গলবার।


 বাতিস্তম্ভে হাত লেগে মৃত্যু  : মৃতের স্ত্রী 
এবার ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক রোডে মৃত্যু হল এক দোকান মালিকের। মৃতের নাম বান্টি হালদার। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, সকাল ৯টা নাগাদ রাস্তার ফিডার বক্স থেকে আগুনের ফুলকি বেরোতে শুরু করে।সেখান থেকে বান্টির কচুরির দোকানে আগুন লেগে যায়। প্রাণ বাঁচাতে দোকান থেকে বেরিয়ে  পড়েন  তিনি। কিন্তু প্রাণরক্ষা হল না।  বাতিস্তম্ভে হাত লেগে যায় তাঁর। আর সেখানেই ছিল মরণফাঁদ। ওই স্তম্ভে হাত লেগেই  বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হন বছর পঁয়ত্রিশের বান্টি, এমনটাই দাবি তাঁর স্ত্রীর।


যদিও এই অভিযোগ খারিজ করেছে পুলিশ। এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। তারপর থেকেই উত্তাল এলাকা।  গ্যাস লিক করে আগুন, দোকানের শাটারে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট ওই ব্যক্তি, দাবি পুলিশের। 

আরও পড়ুন :


হরিদেবপুরের মৃত্যুর পরও ফেরেনি হুঁশ, শহরে কোথাও খোলা তার, কোথাও জয়েন্টবক্স !


মুখ খুললেন শোভন 
শহরে পরপর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন কলকাতার  প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। তাঁর দাবি, একে অপরের উপর দায় চাপিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাতেই একের পর এক প্রাণহানি ঘটে চলেছে।  শোভনের পরামর্শ, দুর্ঘটনা কমাতে মাটির নীচ দিয়ে বিদ্যুত্‍ সরবরাহের ব্যবস্থা করুক সিইএসসি। বিদ্যুত্‍ চুরি ঠেকিয়ে নিজেদের বাড়তি আয়ের কিছুটা ব্যয় করতে হবে তাদের। শোভন আরও বলেন, "গত ১৫ বছর ধরে প্লাস্টিকে মোড়া যে  সংযোগ বসানো হয়েছে, তার মধ্যে অ্যালুমিনিয়াম, তামার তার রয়েছে। ঝড়-জল, বৃষ্টিতে সেগুলি নষ্ট হচ্ছে। তা জলের সংস্পর্শে এসে দুর্ঘটনা ঘটছে।