মুম্বই: প্রবল টানাপড়েন কাটিয়ে অবশেষে তখত-বদল হয়েছে মহারাষ্ট্রে। বাল ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছিনিয়ে নিয়েছেন শিবসেনার পুরনো নেতা একনাথ শিণ্ডে। শিবসেনায় কার্যত কোণঠাসা করে দিয়েছেন ঠাকরে পরিবারকেই।
টানটান টানাপড়েন:
একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বেই মহারাষ্ট্রের একাধিক শিবসেনা বিধায়ক বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে। অনুগামীদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গুয়াহাটিতে বসেছিলেন শিণ্ডে। সেখান থেকেই চলেছে লড়াই। প্রয়োজনে আসা-যাওয়ার করেছেন মহারাষ্ট্রেও। নিখুঁত অঙ্কে সাজানো হয়েছিল ছক। শিবসেনার দুই পক্ষের প্রবল টানাপড়েনের পরে শেষপর্যন্ত শেষ হাসি হেসেছে শিণ্ডে-গোষ্ঠীই। কিন্তু ঠাকরের পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ! এত বড় লড়াই কীভাবে করলেন শিণ্ডে? গভীর রাজনীতি, নিখুঁত কূটনীতি এবং দুরন্ত টাইমিং-সবকিছুর এমন মিশেল কীভাবে? গোড়া থেকেই এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করেছে দেশের রাজনৈতিক মহলে। অবশেষে সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন খোদ একনাথ শিণ্ডে।
পিছনে কার হাত?
গোটা কাণ্ডের পিছনে রয়েছে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের মস্তিষ্ক। তাঁর অভিজ্ঞতা আর কলকাঠিতেই তৈরি হয়েছে নতুন এই সরকার। আস্থা ভোটে জয় পেয়েই এমনটা জানিয়েছেন খোদ একনাথ শিণ্ডে।
জয়ের পর শিণ্ডে জানান, বিধান পরিষদ ভোটে তাঁর সঙ্গে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল, তাঁর পরেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্র থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার সময় কীভাবে পুলিশের নজরদারি এড়িয়েছিলেন সেটাও জানান তিনি। শিণ্ডে বলেন, 'আমি জানি কীভাবে মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে কাউকে ট্র্যাক করা যায়। আমি এটাও জানি কীভাবে এই নজরদারি এড়ানো যায়।' দীর্ঘদিন ধরে চলেছে এই প্রক্রিয়া। বিদ্রোহ ঘোষণা করার পরেই অনুগামীদের নিয়ে প্রথমে সুরাত গিয়েছিলেন একনাথ শিণ্ডে। তারপর সেখান থেকে চাটার্ড বিমানে সোজা গুয়াহাটি। যখন মোটামুটি বোঝাই যাচ্ছিল যে সরতে চলেছেন উদ্ধব, তখন অনুগামী বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে গোয়ায় আসেন তাঁরা। তারপর গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন শিণ্ডে, উপ মুখ্যমন্ত্রী হল ফড়ণবীশ।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি চত্বরে ঢুকে লড়া ব্যক্তির জামায় 'লুকোনো লোহার রড' !