কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : সিপিএম (CPIM) ‘ছাড়লেন’ অনিল বিশ্বাসের (Anil Biswas) মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস (Ajanta Biswas)। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করলেন না অজন্তা, এমনটাই খবর সিপিএম সূত্রে। প্রসঙ্গত, সিপিএমের কলকাতা জেলার অধ্যাপক শাখার সদস্য ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সিপিএমের সদস্য রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপিকা।
গত জুলাই মাসে তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলায়’ প্রবন্ধ লিখে শাস্তির মুখে পড়েছিলেন। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা ঝড়ে পড়েছিল তাঁর কলমে। সাসপেনশন মিটে গেলেও সদস্যপদ এখনও নবীকরণ করাননি অজন্তা। এ বিষয়ে ফোন করেও অজন্তা বিশ্বাস বা সিপিএমের তরফে সরকারীভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাড়ল সিপিএম-অজন্তার দূরত্ব
একটা সময় প্রয়াত সিপিএম রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাস রাজ্যের যে বিরোধী নেত্রীকে তুলোধোনা করতেন তিনিই হয়ে ওঠেন অজন্তার 'নয়নের মণি'! ঘনিষ্ঠ মহলে অজন্তা জানিয়েছিলেন, যখন কোভিড আক্রান্ত ছিলেন অজন্তা, পরিবারের আরও একজন আক্রান্ত। তাঁর মা অসুস্থ। তখন ফোন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের খবর নিয়েছেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। যে কোনও অসুবিধায় নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে বলেছেন।তৃণমূল সূত্রের দাবি, একদিন জাগো বাংলার দফতরেও হাজির হয়েছিলেন অজন্তা। বাংলার কংগ্রেস নিয়ে যাঁর গবেষণা, তাঁর কাছে প্রস্তাব গিয়েছিল প্রবন্ধ লেখার। রাত জেগে দরদী অজন্তা লিখেছেন নারীশক্তিদের কথা। অনিবার্যভাবে অনিল কন্যার কলম লিখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আখ্যান। যে মেয়ের 'বকুনির ভয়ে' একসময় লুকিয়ে নস্যি নিতেন অনিল বিশ্বাস, আশ্চর্যের বিষয়, তাঁর গোপনীয়তা টেরই পায়নি আলিমুদ্দিন।
যে লেখার পরই সিপিএমের তরফে পাঠানো হয়েছিল শো-কজ। গত অক্টোবরে যা শেষ হয়। তারপরও পেরিয়ে যায় বেশ কিছু মাস। কিন্তু বছরের একবার নির্ধারিত সময়ে আর এবার সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করলেন না অজন্তা।
আরও পড়ুন- ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করতেই জলকামান, বিজেপি যুব মোর্চার বিকাশ ভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার