হিন্দোল দে, কলকাতা : গল্‍ফ গ্রিনকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) দাবি মৃতের পরিবারের। এই দাবিতে আগামীকাল তারা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যাচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আজাদগড়ের মৃত যুবকের পরিবার। তাদের বক্তব্য,"পুলিশের মারে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে, পুলিশ কী তদন্ত করবে ? পুলিশ বেরনোর ফুটেজ দেখাচ্ছে, থানায় ঢোকার ফুটেজ কেন প্রকাশ্যে আনছে না ?


কী বলছে পরিবার ?


মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত ররিবার, ৩১ জুলাই দুপুর ২টোর সময় দীপঙ্করকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে যায় গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ। অভিযোগ, রাত ৯টার সময় দীপঙ্করকে গুরুতর আহত অবস্থায় আজাদগড় মোড়ে ফেলে রেখে দিয়ে চলে যায় তারা।


শুক্রবার ভোরে এম আর বাঙুর মৃত্যু হয় ৩৪ বছরের দীপঙ্করের। প্রথম থেকেই মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। যদিও তা মানতে নারাজ মৃতের পরিবার।


কোনও অভিযোগ ছিল না, তা সত্ত্বেও বিনা নোটিসে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেছিল পুলিশ। তারপর গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল যুবককে। ৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু ! গল্ফগ্রিন থানার অন্তর্গত আজাদগড়ের বাসিন্দা দীপঙ্কর সাহার মৃত্যুতে এভাবেই পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছে মৃতের পরিবার। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, পুলিশ কি এভাবে যে কোনও সময় কাউকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যেতে পারে ? 


আর পড়ুন ; পুলিশের মারে মৃত্যু! সার্জেন্ট-সহ ৩ জন ক্লোজ, গল্ফগ্রিন থানার সামনে বিজেপির বিক্ষোভ


এদিকে এই ঘটনায় ২ পুলিশকর্মী-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল মৃত দীপঙ্কর সাহার পরিবার। পুলিশ মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করলেও, FIR-এ নাম থাকার কারণে, ২ পুলিশ কর্মী ও এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ক্লোজ করেছে লালবাজার।


দীপঙ্কর সাহার মৃত্যুর ঘটনায়, গল্ফগ্রিন থানার সার্জেন্ট অমিতাভ তামাং, কনস্টেবল তৈমুর আলি এবং সিভিক ভলান্টিয়ার আফতাব মণ্ডলকে ক্লোজ করা হয়েছে। যদিও পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে CBI তদন্তের দাবি তুলেছে মৃতের পরিবার।