সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: বড়দিনের (Christmas) আগে কলকাতার (Kolkata) একটি বেকারিতে (Bakery) আগুন (Fire) লাগে। যা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। গভীর রাতে চারু মার্কেট (Charu Market) এলাকায় বন্ধ বেকারিতে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয় বেকারি।         


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত ৩টে নাগাদ আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকা, আশেপাশে আরও গুদাম ও বেকারি থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বন্ধ বেকারিতে কীভাবে আগুন লাগল, খতিয়ে দেখছে দমকল।                                                   


এদিকে সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ ও দমকল বিভাগের ফায়ার সেফটি অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেখানে বলা ছিল, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়, শহরে এমন কারখানা রয়েছে সাড়ে ছশোর বেশি। কলকাতা পুলিশ ও দমকল বিভাগের ফায়ার সেফটি অডিট রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। চলতি বছর ১২মার্চ ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ট্যাংরার মেহের আলি লেনের বিশাল গুদাম।                           


আরও পড়ুন, চিনে ভয়ঙ্কর হারে বাড়ছে করোনা! ফের কি ফিরতে চলেছে লকডাউন?


সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়ম না মেনে, বিনা অনুমতিতে, বৈধ কাগজ ছাড়া শহরের ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার ৫৯৯টি কারখানা ও গোডাউনে কাজ চলছে।


কলকাতা পুলিশের সমীক্ষায় সেই সংখ্যাটা সাড়ে ৬০০-র বেশি। তার মধ্যে ৪৯০টি কারখানায় যে কোনও সময় আগুন লাগার মতো পরিস্থিতি রয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেয়েই শুক্রবার বৈঠকে বসে কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ, সিইএসসি এবং দমকল বিভাগ।                                                   


দমকল সূত্রের খবর, তপসিয়া, ট্যাংরা, তিলজলা- এই কয়েকটি এলাকায় আইন ভাঙার ছবিটা সবচেয়ে বেশি প্রকট। তবে এখনই কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চাইছে না প্রশাসন। আগুন লাগলে অনেক সময় পর্যাপ্ত জল না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় দমকল বিভাগকে। তাই পুরসভার সাহায্য নিয়ে এবার ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ওয়াটার স্পাউট তৈরিতে জোর দিচ্ছে দমকল বিভাগ। 


এ প্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, "কারও কারখানা বন্ধ করার পক্ষপাতী আমরা নই, তাই আমরা প্রথমে নোটিস ধরাব।  আইন মোতাবেক কারখানা না চালালে আইন রয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার।"