কলকাতা : শীতের দুপুরে ফের অগ্নিকাণ্ড শহরে। বড়বাজারের (Burrabazar) কটন স্ট্রিটে একটি শাড়ির গুদামে আগুন (Fire at Godown) লেগে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন । ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন লাগায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


পোস্তা থানার অন্তর্গত ১৪৭ নম্বর কটন স্ট্রিট এলাকার ঘটনা। এই এলাকায় বেশিরভাগই বস্ত্র, বিশেষ করে শাড়ির দোকান-গোডাউন-পাইকারি বাজার রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুর ২টো নাগাদ সংশ্লিষ্ট বিল্ডিংয়ে ৫ তলার গোডাউনে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল, কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের কর্মীরা। ৯ তলার এই বিল্ডিংয়ের উপরের তলাতেও রয়েছে ব্যবসায়িক ক্ষেত্র। তাই, আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারতো।


যদি এই মুহূর্তে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ চলছে। বিল্ডিংটি রেসিডেন্সিয়াল ও কর্মর্সিয়াল দুটি উদ্দেশেই ব্যবহার করা হয়। যদিও বেশ কিছুটা সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। ভেতর ও বাইরে থেকে জল দেওয়া হচ্ছে। আগুন লাগার পর অবশ্য বিল্ডিং থেকে সকলে নিরাপদে বেরিয়ে এসেছেন বলে জানা গেছে।


মেডিক্যাল কলেজে অগ্নিকাণ্ড -


দীপাবলীর পরদিন বিকেলে, মেডিক্যাল কলেজের MCH বিল্ডিংয়ে এইচআইভি চিকিৎসার আউটডোরে হঠাৎ আগুন লাগে। দমকলের ৬ টি ইঞ্জিনের প্রায় একঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরই সেখানে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। মেডিক্যাল কলেজে পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। অধ্যক্ষের ঘরে বৈঠকও করেন তিনি। মেডিক্যাল কলেজে যায় ফরেন্সিক টিম। অগ্নিকাণ্ডের পর আউটডোর পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়।


গত অক্টোবরে বাঁশদ্রোণীতে এক বসতবাড়িতে আগুন (Bansdroni Fire Incident) লাগে। স্থানীয়দের দাবি, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগে। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে দমকলের দু'টি ইঞ্জিন পৌঁছায় বলে খবর। পুজোর মধ্যে এটিই একমাত্র অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নয়। মহাষ্টমীর সন্ধেতেই শহরের ক্যানাল ইস্ট রোডে এক বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন লাগে।


এই ঘটনার আগে, মহাষ্টমীর দিন, সন্ধেয় যখন মণ্ডপে মণ্ডপে জনসমুদ্র, ঠিক তখনই ক্যানাল ইস্ট রোডের বাড়িতে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোট ৬টি সিলিন্ডার ফাটার শব্দ শোনা যায়।