বেঙ্গালুরু: সকাল সকাল যুদ্ধবিমানে সওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বায়ুসেনার পোশাকেই সওয়াল হলেন যুদ্ধবিমান ‘তেজসে’। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধবিমানের গুণমান প্রমাণ করে দেখলেন। চক্কর কাটলেন খোলা আকাশে। বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানে সওয়ার অবস্থায় তাঁর সেই ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (Narendra Modi on Tejas)
শনিবার সকালে বেঙ্গালুরুতে রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান এ্যারোনটিক্স লিমিটেডের দফতরে হাজির হন মোদি। সেখানে যুদ্ধবিমান নির্মাণ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় ঘুরে দেখেন তিনি। পাশাপাশি বায়ুসেনার পাইলটের বেশেও আবির্ভূত হন মোদি। হেলমেট হাতে এগিয়ে আসেন রানওয়ে দিয়ে। এর পর সোজা একটি 'তেজস' যুদ্ধবিমানে সওয়ার হন। চক্কর কাটেন আকাশে। (Narendra Modi News)
পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন মোদি। লেখেন, 'তেজসে সফল ভাবে সর্টি সম্পূর্ণ করলাম। এই অভিজ্ঞতায় অত্যন্ত সমৃদ্ধ হলাম, দেশীয় প্রযুক্তিতে নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে বাড়ল আত্মবিশ্বাস। দেশের সম্ভাবনা নিয়ে আবারও গর্ব অনুভব করছি, ভবিষ্যৎ নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী আমি'।
ভারতীয় বায়ুসেনা এবং নৌসেনার ব্যবহৃত যুদ্ধবিমান 'তেজস' এক আসনের ছোট্ট একটি বিমান। কিন্তু এদিন প্রধানমন্ত্রী যে বিমানটিতে চাপেন, সেটি দুই আসনের। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সেটি ব্যবহৃত হয়। এদিন মোদি বসেছিলেন পিছনের আসনে। চালকের আসনে ছিলেন প্রশিক্ষিত পাইলট। ক্যামেরার দিকে থাকিয়ে থামস আপ দেখান মোদি। তার পরই আকাশে উড়ে যায় তেজস।
অপেক্ষাকৃত হালকা ওজনের যুদ্ধবিমান 'তেজস'। ৪.৫ জেনারেশন মাল্টি রোল যুদ্ধবিমান এটি। আকাশপথে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করার পাশাপাশি, মাটিতেও সমান দক্ষতায় হামলা চালাতে পারে। HAL এই 'তেজস' যুদ্ধবিমানের নির্মাতা। প্রথমে বায়ুসেনার জন্যই এই যুদ্ধবিমানটির নির্মাণ হয়েছিল। পরবর্তী কালে নৌবাহিনীর জন্যও অন্য একটি সংস্করণ বের করা হয়। জলসীমার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের কাজে সেটি ব্যবহৃত হয়।
'তেজস'কে আরও আধুনিক করে তুলতে আমেরিকার সঙ্গে দিল্লির সামরিক চুক্তিও হয়েছে। তার আওতায় আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করে 'তেজসে'র নতুন সংস্করণ LCA Tejas Mark 1A আনা হবে। মান্ধাতা আমলের মিগ-২১ যুদ্ধবিমানের বিকল্প করে তোলা হবে সেগুলিকে। এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও, অসমের তেজপুরে SU-30MKI যুদ্ধবিমানে সওয়ার হন।